মেধাবী ছাত্রী । অনেক দূর লেখাপড়া করার স্বপ্ন। কিন্তু বাড়ির লোক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, আর পড়াশোনা করাবেন না। এবার বিয়ে করে সংসার করতে হবে।
কিন্তু বছর ১৫ মেয়েটি জেনেছে কোনটা বিয়ের বয়স আর কোনটা নয়। তাই বাড়ি থেকে বিয়ের ঠিক করলেও নিজেই নিজের বিয়ে রুখে দিল সন্দেশখালির ওই নাবালিকা।
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রামের এক বছর ২২-এর এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেন পাত্রীর বাবা-মা। সোমবার বিয়ের দিন সকালে গায়ে হলুদ হয়ে যায় মেয়ের। তারপর সন্দেশখালি থেকে হিঙ্গলগঞ্জের দিকে মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন বাবা-মা। পাত্রের বাড়িতেই যাবতীয় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার মেয়েটি আসল কাজ করে রেখেছিল।
রবিবার সন্ধেবেলা চাইল্ডলাইনের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে রেখেছিল মেয়েটি। কোথায় পাত্রের বাড়ির ঠিকানাও জানায়। সোমবার বেলার দিকে পুলিশ পৌঁছে যায় পাত্রের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, সেই সময়েও মেয়ের বাবা-মা বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হননি। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে আইনের বিষয়টি বোঝানো হয়। বলা হয়, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সরকারি প্রকল্প রয়েছে। তারপরও বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়নি মেয়েটির পরিবার। আইনের ভয় দেখিয়ে বন্ধ করা হয় বিয়ে। প্রশাসনের তরফে নাবালিকার সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে।