দার্জিলিঙে বনধের আবহাওয়া, সমতলে বাইকার, সাইক্লিস্টদের সামাল দিতে নাকাল পুলিশ

সাতসকালেই কেউ বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে লং ড্রাইভে। আবার কেউ সাইকেলেই এলাকা পরিক্রমা করতে মরিয়া। কারও মাস্ক আছে। তবে তা থেকে নাক বেরিয়ে রয়েছে। আবার কারও মাস্কের বালাই নেই। বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারে এমনই ছবি দেখা গেল বৃহস্পতিবার লকডাউনের দিন।

বালুরঘাটের চিত্র

এই বাইক রাইডার, সাইক্লিস্টদের আটকাতেই নানা এলাকায় পুলিশকে দিনভর নাজেহাল হতে হয়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সব মিলিয়ে অন্তত ২০০ জনের বেশি বাইকার, সাইক্লিস্টকে ধরে সতর্ক করে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এ যাত্রায় পুলিশ ধরাধরি করেনি। পুলিশের কয়েকজনের বক্তব্য, গ্রেফতার করার চেয়ে সতর্ক করে দেওয়ার উপরেই জোর দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

শিলিগুড়ির চিত্র

এদিন সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের নানা এলাকায় সকাল থেকেই বেশ কিছু বাইক আরোহী, সাইক্লিস্টদের দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বালুরঘাট থানার আইসি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। নানা এলাকায় গিয়ে বাইকার, সাইক্লিস্টদের সতর্ক করে পুলিশ। অনেককে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হয়। অধিকাংশকেই বাড়ির দিকে ফের রওনা করিয়ে দেয় পুলিশ।
আলিপুরদুয়ার তুলনামূলকবাবে ছিল শুনসান। তেমন বাইকার, সাইক্লিস্টদের দেখা যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি এলাকায় টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন। পুলিশ তাদের ঘরমুখো করে দিয়েছে। কোচবিহারে বাইক ও সাইকেল আরোহীদের দেখা মিলেছে সাগরদিঘি, সুনীতি রোড ও বাঁদের ধারের রাস্তায়। পুলিশ ধমকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে তাঁদের।
জলপাইগুড়িতে অবশ্য পুলিশের চাপ বেশি ছিল না। কারণ, চা বাগান অধ্যুষিত জলপাইগুড়িতে খানিকটা বনধের পরিবেশ ছিল সকাল থেকেই। তবে হাইওয়ে এলাকায় কিছু বাইক আরোহীর দাপট দেখা যায় সকালের দিকে। পুলিশের টহলদারি ভ্যান আসরে নামতেই গলিতে ঢুকে চম্পট দেয় ওই আরোহীরা।

দার্জিলিংয়ের চিত্র

শিলিগুড়িতে অবশ্য সুনসান ছিল হিলকার্ট রোড, সেবক রোড সহ প্রায় সব এলাকায়। সকালের দিকে কয়েকটি এলাকায় সবজির দোকান বসেছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ফুলের দোকানও বসেছিল বেশ কিছু এলাকায়। পুলিশ ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেয়।
মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে সকালের দিকে বেশ কয়েকটি এলাকায় ফুল ও সবজি নিয়ে বিক্রেতাদের দেখা যায়. তবে পুলিশের টহল শুরু হতেই সরে পড়েন তাঁরা। দুপুরের দিকে জাতীয় সড়কে বাইক ও সাইকেল আরোহীদের ছোটাছুটি দেখা গিয়েছিল। পুলিশ আটকে জেরা করতেই অলিগলি দিয়ে এলাকায় ঢুকে পড়ে তাঁরা। দার্জিলিংয়ের চেহারা ছিল পুরোপুরি নির্জন। কারণ, সকাল থেকেই বৃষ্টি। তাই রাস্তায় লোকজনও ছিল কম।

Previous articleবলিউডে মাদক যোগ নিয়ে বিস্ফোরক কঙ্গনা  
Next articleসুশান্তকে বিষ খাইয়েছে রিয়াই! বিস্ফোরক অভিনেতার বাবা