পক্ককেশী। চামড়ায় পড়েছে বার্ধক্যের ভাঁজ। শরীর গিয়েছে ভেঙে। কিন্তু তাঁদের জুটি “এভার গ্রিন”। একে অন্যের হাতে হাত রেখে পার করে ফেলেছেন নয় নয় করে ৭৯টা বছর।একইসঙ্গে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের প্রবীণতম দম্পত্তি হিসেবে নাম তুললেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

ইকুয়েডরের নাগরিক ১১০ বছরের জুলিয়ো সিজার মোরা তোপিয়া এবং তাঁর স্ত্রী ১০৪ বছরের ওয়ালড্রামিনা ম্যাক্লোভিয়া কুইন্টেরো।

তাঁদের সম্পর্কের শুরুটাও ছিল বেশ রোমান্টিক। স্কুলের ছুটিতে দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ওয়ালড্রামিনা। সেখানেই জুলিয়োর সঙ্গে আলাপ। এরপর সেই আলাপ থেকে বন্ধুত্ব আর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। খুব সুন্দর কবিতা লিখতেন জুলিয়ো। সেই কবিতাই সর্বপ্রথম মুগ্ধ করেছিল ওালড্রামিনাকে। উল্টোদিকে তাঁর রূপ, সুন্দর করে কথা বলার ক্ষমতা ও বড় মনের পরিচয় পেয়েই প্রেমে পড়েগিয়েছিলেন জুলিয়ো। বছর সাতেক চলে এই প্রেমপর্ব। তারপর পরিণতি পায় সেই প্রেম। গাঁটছড়া বাঁধেন জুলিয়ো ও ওয়াড্রামিনা।

সেটা ছিল ১৯৪১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। এত বছরের দাম্পত্যজীবনের রহস্য জানতে চাইলে তাঁরা জানান, ভালোবাসা, পরিপক্কতা এবং একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা। একটা সময় শিক্ষকতা করতেন পাঁচ সন্তানের বাবা-মা। বহুদিন হল উপভোগ করছেন অবসর জীবন। তাঁদের বড় ছেলে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। এছাড়া সকলেই এখনও একই সঙ্গে থাকেন। আর রয়েছে ১১ জন নাতি-নাতনি, তাঁদের ২১ জন ছেলেমেয়ে অর্থাৎ এই দম্পতির গ্রেট গ্র্যান্ড চিল্ড্রেন। আর ৯ জন গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড চিল্ড্রেন। জুলিয়ো-ওয়াড্রামিনা আজও বাগান করাই হোক বা সিনেমা -থিয়েটার দেখা, সবই করেন একসঙ্গে। হাতে হাত রেখে।
