দলবদলে ‘উপহার’ ধুতি-শাড়ি, সমালোচনা বিরোধীদের

দলবদল চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসকদলে যাচ্ছেন অনেকে। আবার উল্টোটাও হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে এবার শিবিরবদল ঘিরে উঠল উপঢৌকন দিয়ে দলে টানার অভিযোগ। শনিবার বাগদা ব্লকের পুরাতন হেলেঞ্চায় বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অনেকে। উপহার হিসেবে পুরুষদের ধুতি-গামছা, মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। উপঢৌকন দিয়ে দরিদ্র পরিবারগুলিকে দলে টানা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লকডাউন পরিস্থিতিতে গরিব পরিবারকে সাহায্য করতেই দেওয়া হয়েছে ধুতি-শাড়ি।

দলবদলের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি অঘোর হালদার ও  হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের শখানেক মানুষের হাতে ধুতি-শাড়ি ছাড়াও মাস্ক, গামছা, গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অমৃতলাল বিশ্বাসের দাবি, লোকসভা ভোটে এই এলাকায় তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই এবার লোভ দেখিয়ে গরিব আদিবাসীদের দলে টানতে চাইছে শাসকদল। ধুতি-শাড়ি দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনা করেছে সিপিআইএমও।

যদিও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য পরিতোষ সাহার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছে ওই পরিাবারগুলি। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীদের সহযোগিতা করে তাঁদের দল। করোনা-আবহে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আগেও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে দলে টানার প্রয়োজন হয় না।

 

Previous articleযুব মোর্চার কমিটিতেও নেই মুকুলপুত্র, নেই মুসলিম মুখও
Next articleExclusive: বিজেপি সাংসদের পরকীয়ার গোপন কথা প্রকাশ্যে, প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির