প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার, জেনে নিন বিস্তারিত …

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
TET পরীক্ষায় নিয়োগের সরকারি বিজ্ঞপ্তি বেশ কয়েক বছর পরে এবার আবার পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশিত হতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকার শেষ বার TET পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০১৭ সালে। তার জেরে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছিলেন অসংখ্য প্রার্থী। ভোটের আগেই এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি সম্পন্ন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: ফিরে এলো ঐশীর স্মৃতি, JNU-তে ফের ABVP-এর বিরুদ্ধে ছাত্র নিগ্রহের অভিযোগ

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার বিষয় বিজ্ঞপ্তি জারি হবে পুজোর ঠিক পরেই।
গত ৩ বছরে TET পরীক্ষায় বসার জন্য আরও প্রচুর পরিমাণে শিক্ষার্থী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের সকলের একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। তার জন্য কিছু দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে রাজ্য প্রাইমারি টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। তবে শূন্যপদের বিষয়টি এখনও জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন:৩৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ, ঘোষণা রেল বোর্ডের

প্রাথমিক টেট পরীক্ষা বিষয়ে শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-কে জানিয়েছেন, ” অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।  তার ঠিক ২-৩ মাস পর পরীক্ষা হবে। এর পর রেজাল্টের কিছু আগে সরকারের হাতে আসবে শূন্যপদ। সেই অনুযায়ী পাশ করানো হবে পরীক্ষার্থীদের।”

আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার আয়োজন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের

জানা গিয়েছে, এই দফায় পরীক্ষায় বসার আবেদন করতে পারবেন শুধুমাত্র সেই সব প্রার্থী, যাঁরা ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আবেদন করেননি। যাঁরা ২০১৭ সালে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের আর আবেদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানা গিয়েছে। তবে সকলেরই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। এই পরীক্ষায় পদপ্রার্থীদের অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিকে ৫০% নম্বর এবং ডিএলএড ডিগ্রী থাকতে হবে।

আরও পড়ুন:অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে স্কুলে ভাঙচুর, কোথায় জানেন?  

 

কোন কোন বিষয়ের পরীক্ষা হবে? মোট কত নম্বর?

বাংলা, ইংরেজি, শিশুশিক্ষা, অঙ্ক, পরিবেশ বিদ্যা এই পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষা হবে মোট ১৫০ নম্বরের । অর্থাৎ প্রতিটি বিষয় থাকবে ৩০ নম্বর করে। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে জেনারেল কাস্ট প্রার্থীদের। অর্থাৎ ১৫০ এর মধ্যে পেতে হবে ৯০। এসসি এবং এসটি প্রার্থীরা ৫% ছাড় পাবেন।

পরীক্ষার উত্তীর্ণের বিষয়ে শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ” এই পরীক্ষাটিতে মৌখিক পরীক্ষাও হবে। অর্থাৎ লেখা পরীক্ষায় পাশ করার পর মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে সফল প্রার্থীদের। এই বিষয়ে একটি কথা হল, নির্দিষ্ট শতাংশ নম্বর পাওয়া মানে সেই প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় ডাক পাবেন তা নয়। তার কারণ, ইন্টারভিউয়ের আগে সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি হবে। নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য বলে মনে হলে সেই প্রার্থী ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন।”

 

Previous articleপুলিশ দিবস উপলক্ষ্যে গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী, গাইলেন ইন্দ্রনীল
Next articleবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বকেয়া টাকায় কাটছাঁট ট্রাম্প প্রশাসনের