বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে থাকছে না কোনও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব

করোনা মহামারি আবহের মধ্যেই আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দু’দিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশনে বসতে চলেছে। নজিরবিহীন সুরক্ষার মধ্যে দিয়েই শুরু হবে সেই অধিবেশন। এমনটা আগেই জানানো হয়েছিল। আরও সতর্কতা অবলম্বনেএবার জানিয়ে দেওয়া হলো, দু’দিনের এই বর্ষাকালীন অধিবেশনে কোনও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থাকছে না। করোনা পরিস্থিতি এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার এই কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, সাংবিধানিক নিয়মরক্ষায় রাজ্য বিধানসভার দু’দিনের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার। পরেরদিন ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারও চলবে অধিবেশন।
তার আগে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, তবেই তাঁরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। শুধু বিধায়ক বা মন্ত্রী নন, বিধানসভার প্রতিটি স্টাফদের জন্য একই নিয়ম।কোভিড সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এমন ঘোষণা করেছিলেন। স্পিকার জানান, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিধানসভাতেই এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। যার রিপোর্ট পাওয়া যাবে মাত্র আধঘন্টায়। গোটা বিধানসভা চত্বর স্যানিটাইজার করা হবে।

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, কোভিড সুরক্ষাবিধি মাথায় রেখেই অধিবেশন কক্ষে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এ বার দর্শক আসনেও বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গ্যালারিতে বসবেন অপেক্ষাকৃত কমবয়সী বিধায়করা। আর নীচে বসানো হবে বয়স্কদের। বিশেষ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ছাড়া কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। বিধায়কের গাড়ি বিধানসভার মধ্যে ছেড়ে দিয়ে বাইরে চলে যেতে হবে। স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন স্পিকার।

অধ্যক্ষ-এর কথায়, দু’দিনই স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কঠোর সূচি তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী, বিধায়ক ছাড়াও বিধানসভার কর্মী ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও করোনা পরীক্ষা করেই মূল ভবনে প্রবেশ করতে হবে।

জানা গিয়েছে, শুরুর দিন শোকজ্ঞাপনের পরেই সভা শেষ হয়ে যাবে। পরদিন, ১০ সেপ্টেম্বর বিধানসভার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে। অধিবেশনে আলোচনার জন্য এ বার একদিনই বরাদ্দ রয়েছে। বিরোধীরা সেদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অগ্নিমূল্য নিয়ে আলোচনা চাইছেন। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের বাদল অধিবেশনও শুরু হবে। তার আগেও কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। গত ২৮ অগস্ট এই মর্মে তিনি নির্দেশ দেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-বাদল অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেককেই এই নির্দেশ মেনে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। লোকসভার স্পিকার জানান, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত সহকর্মীর ভর্তিতে গড়িমসি! মেডিক্যাল কলেজে নজিরবিহীন বিক্ষোভ পুলিশকর্মীদের

 

Previous articleশ্রমিক অসন্তোষ, তালা পড়ল ভদ্রেশ্বর নর্থব্রুক জুটমিলে
Next articleগোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত খয়রাশোল, চলল গুলি-বোমা