শান্তির জন্য দরকার বিশ্বাসের সম্পর্ক, চিনকে বার্তা রাজনাথের

শান্তি বজায় রাখতে গেলে আগে দরকার বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। পারস্পরিক বিশ্বাস না থাকলে শান্তি স্থাপন কঠিন হয়ে পড়ে। মস্কোর বৈঠকে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বার্তা দিয়ে বললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে মস্কোতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বার্ষিক সম্মেলনে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল উই ফেঙ্গে। প্রথম দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা ছিল না। কিন্তু চিনই রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করে, যা চলতি সীমান্ত সমস্যার পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃভারতীয় আমেরিকানদের ভোট পেতে মোদিকে প্রশংসায় ভরালেন ট্রাম্প

সীমান্তে সংঘর্ষের বাতাবরণ থাকলেও সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আলোচনা চলছে দু’তরফেই। মস্কোর বৈঠকে চিনকে বার্তা দিয়ে রাজনাথও বলেছেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে সবচেয়ে আগে দরকার দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক। বিশ্বাসে ঘাটতি থাকলে তা শান্তি স্থাপনের পথে অন্তরায়। দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে তখনই আসবে যখন বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা হবে। স্পষ্টতই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিত করেছেন, চিনের কথার খেলাপ করার করার প্রবণতাকে। শান্তি বৈঠকের মাঝেই চিনা লাল ফৌজ অশান্তি পাকাচ্ছে, জোর করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজনাথ তাই বলেন, আগ্রাসন দেখিয়ে লাভ নেই। জবরদস্তি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতিকে মানতে হবে। তাহলেই পারস্পরিক বিশ্বাস রেখে দুই দেশ শান্তির পথে এগোতে পারবে। অন্যদিকে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে হবে। শান্তি রক্ষার দায় ভারতের।

আরও পড়ুন:লাদাখ সমস্যা জিইয়ে রাখতে দায়ী চিন, স্পষ্ট জানাল ভারত

প্যাংগংয়ে গত ২৯ ও ৩০ অগাস্ট সংঘর্ষের পরে নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেছিলেন, ভারতীয় সেনা এলএসি লঙ্ঘন করার ফলেই এমন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিনের সেনা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যদিও চিনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের কথাই বলেছিলেন। মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশনের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও যোগ দিতে পারেন বলে কথা আছে। ওয়াং ই-র সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ এবং বৈঠক হতে পারে। চলতি অশান্তির মধ্যেই অনেকবার ফোনে ও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী। আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দু’পক্ষই।

 

Previous articleভারতীয় আমেরিকানদের ভোট পেতে মোদিকে প্রশংসায় ভরালেন ট্রাম্প
Next articleচার্জশিট থেকে ছাড় দিয়ে মুকুলের নেতৃত্বেই ভোট, আশাবাদী দিলীপবিরোধী শিবির