ভারতীয় আমেরিকানদের ভোট পেতে মোদিকে প্রশংসায় ভরালেন ট্রাম্প

ভারতীয় আমেরিকানদের ভোট পাওয়ার তাগিদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিরাট প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদি তাঁর ভীষণ ভাল বন্ধু বলে উল্লেখ করলেন। মোদির জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতারও প্রশংসা করলেন।

আরও পড়ুন:কানাডা ফেরালে মৃত্যু নিশ্চিত, আতঙ্কে কিম জং ইলের প্রাক্তন রক্ষী

এমনকী বললেন, শুধু তিনি একা নন, তাঁর ছেলে ডোনাল্ড আর মেয়ে ইভাঙ্কার সঙ্গেও ভারতের দারুণ সম্পর্ক। ভারতীয় আমেরিকানদের ভোট পাওয়ার আশায় ট্রাম্পের প্রচার কমিটিও ভারতীয় আমেরিকান ভোটারদের প্রভাবিত করতে প্রচারে নেমে পড়েছে। আলাদাভাবে এজন্য প্রচার ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমেরিকার কয়েক লক্ষ ভোটার ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটদেরই ভোট দিয়ে থাকেন। তবে গতবার এর ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছিল। ভোটের ফল বিশ্লেষণের পর দেখা যায়, ভারতীয় ভোটারদের ভাল ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। তার মধ্যে আবার হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বলা হয়েছিল, মোদি ও ট্রাম্প দুই বিশ্বনেতাই জাতীয়তাবাদী ভাবনার উগ্র প্রচারক। তাই ভারতে মোদির যে জনসমর্থন, অনেকটা সেই ধাঁচের জনসমর্থন পেয়েছেন মার্কিন জাতীয়তাবাদ প্রচার করা ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

আরও পড়ুনঃবাংলার ভোটকে প্রভাবিত করতে চাইছে ফেসবুক: অভিযোগে জুকারবার্গকে চিঠি ডেরেকের

এবারও প্রথমদিকে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের পক্ষে ভারতীয় আমেরিকান ভোটারদের জনসমর্থন বেশি বলে সমীক্ষায় দেখা যায়। ট্রাম্পের থেকে বরং কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। কিন্তু বাইডেনের রানিং মেট হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার পর থেকেই হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছে। কমলা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালনের সূত্রে তাঁর তামিলনাড়ুর শিকড় ডেমোক্র্যাটদের সামনে ভারতীয় ভোটারদের টানতে বড় অস্ত্র। চাপে পড়ে ট্রাম্পও এবার তাই ভারতের জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সখ্যের গভীরতা উল্লেখ করে পাল্টা প্রচারে নেমে পড়েছেন।

আরও পড়ুনঃভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনও উদ্যোগে যোগ দেবে না আমেরিকা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক। আমরা খুব ভাল বন্ধু। ভারতে তিনি অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি ওখানে অসম্ভব জনপ্রিয় নেতা। ফেব্রুয়ারিতে যখন ভারতে গিয়েছিলাম তখন তাঁর আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভারতের মানুষ ইভাঙ্কাকেও খুব পছন্দ করেন। আমেরিকার হিউস্টনে মোদির সফরে হাউডি মোদির অনুষ্ঠান দুর্দান্ত হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব মহামারির আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম তখন রাজকীয় অনুষ্ঠান করেছিল ওরা। বিরাট সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন। ভারতের মানুষ অসাধারণ। ভারত যেমন এক অসাধারণ দেশ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীও অসাধারণ। আমি জানি, ভারতীয় আমেরিকানরা ৩ নভেম্বর আমাকেই সমর্থন করবেন। ভারতীয়দের ভোট আমিই পাব। ট্রাম্পের এই ভারত বন্দনার পিছনে নিশ্চিতভাবেই ভোটের অঙ্ক একটা বড় কারণ। মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, ওহিও-র মত যেসব রাজ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় সেখানে ট্রাম্পের জন্য ভারতীয় আমেরিকানদের প্রতিটি ভোটই খুব মূল্যবান। ট্রাম্পের মোদি স্তুতিতে সেই তাগিদই প্রতিফলিত।

 

Previous articleবিনোদনে আইফোন দাবি যুবকের, টুইটে যোগ্য জবাব সোনুর
Next articleশান্তির জন্য দরকার বিশ্বাসের সম্পর্ক, চিনকে বার্তা রাজনাথের