আলোচনার আড়ালে সীমান্তে নির্মাণকাজ সেরে ফেলাই লক্ষ্য চিনের?

ভারতের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে সীমান্তে দ্রুত পরিকাঠামো নির্মাণ সেরে ফেলাই কি চিনের লক্ষ্য? সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। তাঁদের মতে, চিন কথায় আর কাজে পুরো উল্টো। ওদের কথায় বিশ্বাস করলেই ঠকতে হবে। ভারতের একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, সেনা স্তরে এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আসলে চিনের কাছে সময় কেনার ঢাল। শান্তি আলোচনার আড়ালে সীমান্তের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে দ্রুত পরিকাঠামো নির্মাণ শেষ করে ফেলতে চাইছে চিন। যাতে বেজিংয়ের আগ্রাসী দখল নীতি কার্যকর করা মসৃণ হয় পিপলস লিবারেশন আর্মির পক্ষে। এজন্য একদিকে যখন আলোচনা চলছে, তখন অন্যদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ঝড়ের গতিতে রাস্তা, রানওয়ে, সামরিক ছাউনি, বোল্ডার ফেলা ইত্যাদি কাজ হচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রেই ধরা পড়ছে এসব সক্রিয়তা। আলোচনা ওদের কাছে আসলে সময় নষ্ট করার কৌশল।

আরও পড়ুন : লাদাখের পর অরুণাচলপ্রদেশে নজর চিনের, সংঘাতের উস্কানি দিতে ছক

লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিন অন্তত তিনটি নতুন রানওয়ে তৈরি করছে বলে সামরিক সূত্রে খবর। চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে এই তিনটি রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে একটি বড় অস্ত্রশস্ত্রের ঘাঁটিও তৈরি করছে চিনা সেনা। কারাকোরাম গিরিপথ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোটান ঘাঁটি। সেখান থেকে লাদাখের প্যাংগং সো-র ফিঙ্গার ফোর এলাকার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। এক সেনা অফিসারের মন্তব্য, চিনের সঙ্গে সেনা ব্রিগেডিয়ার স্তরের আলোচনা কার্যত ব্যর্থ। দখল করা এলাকা ছাড়তে রাজি নয় লাল ফৌজ। উল্টে, অগাস্টের শেষে ভারতীয় সেনা যে এলাকা কবজা করেছে তা ছেড়ে যেতে চাপ দিচ্ছে চিন। আমাদের ধারণা, আলোচনার আড়ালে চিন আসলে দ্রুত নির্মাণকার্য চালাচ্ছে। আলোচনা হল ওদের কাছে সময় নষ্ট করার খেলা। সেনা সূত্রের খবর, উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমান্ডো বাহিনীর চারটি ইউনিট লাদাখে পাঠাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাদের মধ্যে প্যারা কমান্ডোর ইউনিটও রয়েছে।

আরও পড়ুন : এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না, চিনের হুঙ্কারের পর পাল্টা দিল ভারতও