অতিমারি পরিস্থিতিতেও দুর্গাপুজো হবে। রবিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। মহামারির প্রভাব পড়েছে সব কিছুতেই। নিউ নর্মাল আবহে পাল্টে গিয়েছে সারা বিশ্বের চিত্র। এদিকে ঢাকে কাঠি পড়ার সময় এসে গিয়েছে। কীভাবে পুজো হবে তা নিয়ে নানা পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু করছে বাংলা। এরই মধ্যে রবিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, আনলক ৪ এর গাইডলাইন মেনে রাজ্যে পুজোর আয়োজন করা। কীভাবে সবদিক সামলে পুজো হবে সে সম্পর্কে নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার। জানানো হয়েছে-
◼️ সর্বাধিক ১০০ জন পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন।
◼️ দর্শনার্থীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
◼️ প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজো মানে রাস্তায় মানুষের ভিড়। সারা বছর অপেক্ষা করে থাকা চারটি দিনের জন্য। গত কয়েক বছরে উপরি পাওনা রাজ্য সরকারের কার্নিভাল। সারা বিশ্বে জনপ্রিয় বাংলার দুর্গাপুজো। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে কীভাবে পুজো হবে, সেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রশাসন থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তৎপর হচ্ছেন ধীরে ধীরে। শুরু হয়েছে ঠাকুর বায়না থেকে, মণ্ডপ সজ্জার কাজ। মধ্যপ্রদেশের দুর্গাপুজো নিয়েই ঘোষণা বাংলার পুজোর ক্ষেত্রে কি কোনও বার্তা দিচ্ছে? বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একইভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব হতেই পারে।