কোন্দল তীব্রতর, ফের চিঠি সোনিয়া গান্ধীকে, নিশানায় এবার প্রিয়াঙ্কাও

নেতৃত্ব নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবার রাজ্যস্তরে নেমে এলো৷

AICC-র ২৩ নেতার লেখা চিঠি-বিতর্ক চাপা পড়ার আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর টেবিলে দ্বিতীয় চিঠি হাজির হলো৷ এই চিঠির লক্ষ্য শুধুই সোনিয়া নন, সেখানে নাম না করে উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্বে থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও নিশানা করা হয়েছে৷ চিঠিতে সোনিয়াকে ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে, “পরিবারকে মোহ সে উপর উঠিয়ে”৷

এই চিঠি গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। লেখা হয়েছে, ” দল বাঁচাতে পরিবারতন্ত্রের উর্ধ্বে উঠে এখনই ময়দানে নামা জরুরি। নাহলে কংগ্রেস দলই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷”
‌৪ পাতার এই চিঠিতে সই করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ সিং, প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যদেব ত্রিপাঠি, প্রাক্তন বিধায়ক বিনোদ চৌধুরি, ভূধর নারায়ণ মিশ্র, নেকচন্দ মিশ্র, স্বয়ম প্রকাশ গোস্বামী এবং সঞ্জীব সিং। এরা প্রত্যেকেই কিছুদিন আগে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন৷

নাম না করে উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে ওই
চিঠিতে ৭ বহিষ্কৃত নেতা লিখছেন, “উত্তরপ্রদেশে দলের পরিস্থিতি ‌সবথেকে খারাপ৷ কার্যত অনাথ অবস্থা ৷ এই মুহুর্তেই পদক্ষেপ না করা হলে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস ইতিহাসের গর্ভে চলে যাবে৷ পরিবারতন্ত্রের মোহ ঝেড়ে, দলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন।’”

বিক্ষুব্ধ এই নেতারা দাবি করেছেন, “গত একবছর ধরে তাঁরা সোনিয়া গান্ধীর সময় চাইছেন, কথা বলতে চাইছেন৷ কিন্তু তাঁদের আবেদনে আজও সাড়া দেননি কংগ্রেস সভানেত্রী।”

বিতর্কিত এই চিঠিতে রাখঢাক না করেই সোনিয়া গান্ধীকে বলা হয়েছে, “দায়িত্বে থাকা নেতাদের জন্যই উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের আজ এই বেহাল অবস্থা৷ অথচ এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির কথা আপনি জানেনই না৷ একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে, গোষ্ঠীবাজি এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আমরা দলীয় সংবিধান মেনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আপনি বা অন্য কেউ সে কথা শোনেননি।”

এরপরই নাম না করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দল পরিচালনা করার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিদ্রোহী নেতারা লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে হাইকম্যাণ্ড আজ যাদের যুক্ত করেছেন, তাঁরা আসলে সকলেই বেতনভুক কর্মী। কেউ দলের আর্দশ সম্পর্কে ওয়াকিবহালই নন। তবুও দলীয় কাজকর্মের দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।”

প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বিদ্রোহী ‌নেতাদের দাবি, “গোষ্ঠীবাজিকে মদত দিয়ে আজ হাইকম্যাণ্ড যাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে, তাঁরাই ১৯৭৭– ৮০ সালের খারাপ সময়ে কংগ্রেসের জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছেন। আজকের দিল্লি সেকথা জানেই না”৷

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের স্কুলে প্রাথমিকে ‘অটো’ পাশ !

Previous articleবাংলাদেশের স্কুলে প্রাথমিকে ‘অটো’ পাশ !
Next article“দিনে নারী রাতে মদ!”জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন স্লোগানে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব