করোনা-যুদ্ধের সরঞ্জাম ক্রয় স্বচ্ছতার সঙ্গেই, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট

করোনা-যুদ্ধের সরঞ্জাম ক্রয়ে কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়নি, সবকিছুই হয়েছে স্বচ্ছতার সঙ্গে৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেশ করা রিপোর্টে একথাই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সরব হয়েছিলেন। পরপর একাধিক ট্যুইটে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্য সরকারকে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাজ্যপালের তোলা অভিযোগের জবাব বলেই নবান্নের বক্তব্য৷ রাজ্যপালের আনা অভিযোগ পুরোটাই রাজনৈতিক বলেই মনে করছে সরকার৷

তবে রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, করোনা- মোকাবিলায় প্রথম দিকে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয়েছিলো৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এত বড় বিপর্যয় মোকাবিলার অভিজ্ঞতার ঘাটতিই এর প্রধান কারণ। অভিজ্ঞতার ঘাটতি কখনই ‘অনিয়ম’ হতে পারেনা, রিপোর্টে বলা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট কেনা এবং হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, সব কাজই হয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনজনের কমিটিতে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মীবর্গ দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়। এই তদন্ত কমিটিকেও কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যপাল। বলেছিলেন, “যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার, তাঁরাই তদন্ত করছেন”৷ নবান্ন সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে তদন্তের কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে কমিটি। করোনা- মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত কী কী কাজ হয়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দাখিল করা হয়েছে। সেই তালিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে ৮৪টি কোভিড হাসপাতাল গঠন করা হয়েছে৷ পিপিই কিট কেনা হয়েছে। স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস কেনা হয়েছে। কেন্দ্র কিছু সরঞ্জাম পাঠালেও চাহিদা ছিলো তার থেকে অনেক বেশি৷ তাই রাজ্যকে বহু জিনিসপত্র কিনতে হয়েছে। গোড়ার দিকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়েছিল। পরে তা ঠিক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- কলেজে অনলাইন ভর্তিতেও আর্থিক প্রতারণা, অভিযুক্ত কলকাতার দুই যুবক

Previous articleকলেজে অনলাইন ভর্তিতেও আর্থিক প্রতারণা, অভিযুক্ত কলকাতার দুই যুবক
Next articleসাসপেনশনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুশান্তকে ফেরানোর ভাবনা! অভিজিৎ ঘোষের কলম