আনন্দপুরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়: অভিযুক্তের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার!

তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আনন্দপুরকাণ্ডে নয়া মোড়। অভিযুক্তের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার!
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যেখানে অভিযুক্তের পুরো নামটাই বদলে গিয়েছে। অভিযুক্তের নাম
অমিতাভ নয়, অভিষেক! আর পদবি বসু নয় পাণ্ডে! আর অভিযুক্ত অভিষেক পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা। ঘটনার দিনের একাধিক স্পটের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আটক করা হয়েছে গাড়ি। চিহ্নিত করা গেছে অভিযুক্তকে।
তবে এখন অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

তবে সবচেয়ে বড় রহস্য দানা বেঁধেছে অন্য বিষয়ে। নির্যাতিতা মহিলার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ছে। যা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, নির্যাতিতার সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত অভিষেকের। একটি বেসরকারি সংস্থার তারা দু-জন একসঙ্গে কাজও করতেন। সেখান থেকেই আলাপ। আর সেই আলাপ থেকেই গড়ে ওঠে সম্পর্ক। আর সেই সহকর্মীর মতো ছিল না, সম্পর্ক ছিল আরও গভীর।

আর সেখান থেকেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন! কেন সম্পর্কের কথা গোপন করলেন মহিলা? কী আড়াল করতে চাইছেন তিনি? এই জায়গা থেকে পুলিশ আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছে।

এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিসকে। কী আড়াল করার তাদিগে এমন বয়ান, অসঙ্গতি খতিয়ে দেখছে পুলিস। অন্যদিকে নীলাঞ্জনার পরিবারের তরফে আনন্দপুর থানায় FIR করা হয়েছে অভিষেকের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্যাটের সামনে থেকে একটি হন্ডাসিটি গাড়ি করে আনন্দপুরে নির্যাতিতাকে ঘুরতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডে। তারা প্রথমে পাটুলির একটি রেস্তোরাঁয় যায়। সেখান থেকে বাইপাসের আশপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। অজয়নগর, মুকুন্দপুর, কালিকাপুর হয়ে আনন্দপুর। নির্যাতিতা প্রথমে জানিয়ে ছিলেন, অভিযুক্তকে নয়াবাদে বাড়িতে ছাড়ার জন্য বললে সে চৌবাগার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই তাকে মারধর করে অভিষেক।

তদন্তে নেমে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে প্রথমে পাটুলির সেই রেস্তোরাঁয় যায়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ম্যানেজারকেও। বাইপাসে যে সব সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটজে থেকে গাড়ির নম্বর উদ্ধার করে আটক করা হয়েছে গাড়িটি।

এদিকে, ওই রাতে গাড়ির মধ্যে থেকে চিৎকার শুনে সাহসিকতার সঙ্গে নির্যাতিতাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। জখম নীলাঞ্জনাদেবীর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিতৎসকরা।

Previous articleপুলিশ আবাসনেই আত্মঘাতী পুলিশকর্মী! চাঞ্চল্য বিধাননগরে
Next articleরাজ্য জুড়ে আজ পালিত হবে ‘পুলিশ দিবস’, গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী