মহামারি আবহে ‘ওপেন বুক এক্সাম’পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের

মহামারি পরিস্থিতিতে ছাত্রদের সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই অবস্থানের কথা মাথায় রেখে বাড়িতে বসে পরীক্ষার আয়োজন করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই একই পথে হাঁটল রাজ্যের আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়। কীভাবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা নেওয়া হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। দুই বিশ্ববিদ্যালয় বাড়িতে বসে পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অর্থাৎ ‘ওপেন বুক এক্সাম’-কে প্রাধান্য দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়-

◼️ ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেবেন।

◼️ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

◼️ উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে।

◼️ উত্তরপত্র আবার অনলাইন মারফত পাঠাতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে।

◼️যাদের পক্ষে অনলাইনে উত্তরপত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয়, তাঁদের উত্তরপত্র সংগ্রহ করবে বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যদিকে, আজ মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হবে। বৈঠকের পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, “পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে।” প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে-

◼️ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হবে।

◼️ বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।

◼️প্রশ্নপত্র ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্ট আউট নিয়ে উত্তরপত্র লিখবেন।

◼️ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই উত্তরপত্র ইমেইল বা স্ক্যান করে পাঠিয়ে দিতে হবে।

◼️ একজন ছাত্র যে কলেজের পড়ুয়া, সেই কলেজের অধ্যাপকরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতেই হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য চাইলে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও পরীক্ষা নিতে পারবে। এই রায়ের পর গত সপ্তাহে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফল ঘোষণা করতে হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। সেই নির্দেশ মেনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। এবার প্রায় একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন : অক্টোবরেই মুখ্যসচিব আলাপন, স্বরাষ্ট্র সচিব সুনীল গুপ্ত ? জল্পনা

Previous articleছড়াতে পারেন করোনা! প্রকাশ্য রাস্তায় প্রতিবেশীদের হেনস্থার শিকার বিমানসেবিকা
Next articleযুবমোর্চার রাজ্য কমিটিতে কোনও পরিবর্তন নয়, কৈলাসকে স্পষ্ট বার্তা দিলীপের