পাকিস্তানে মার্বেলের খনিতে ধস, মৃত অন্তত ২২

ভয়াবহ ধস মার্বেলের খনিতে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খনিতে ধসে মৃত্যু হল ২২ জনের। আটকে রয়েছেন ২০ জন। চলছে উদ্ধার কাজ। তবে সময় যত এগোচ্ছে ততই বাঁচার সম্ভবনা কমছে খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের। সোমবার সন্ধেয় ধস নামে আফিগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন খায়বার পাতুনখোয়ার জিয়ারতঘর পাহাড়ের খনিতে। আচমকাই খনিতে মার্বেলের বড় বড় চাঙড় ভেঙে পড়ে। কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। ভারী পাথরে চাপা পড়ে যান।ঘটনাস্থলেই মারা যান ১২ জন।১০ জনকে হাসাপাতলে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। পাথরের ঘায়ে বহু দেহই থেঁতলে গিয়েছিল।

জানা গিয়েছে, খনি এলাকায় আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের খনি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রী মহম্মদ আরিফ জানান, এখনও পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে পুরোদমে। বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন : গাধার দুধের দাম জানেন? জানলে আর কাউকে গাধা বলবেন না

ডেপুটি কমিশনার ইফতিকার আলম জানান, ভারী মেশিনপত্র সরিয়ে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।পরিস্থিতি যা তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

২০১১ সালে বালুচিস্তানের সোরেঙ্গে জেলাতে এবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। কয়লাখনির ওই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ৪৩ জন।২০১৫ সালে মোহমন্দ জেলাতেই মার্বেলের খনিতে ধস নেমেছিল। সেবার ১২ জন মারা গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : “আমার অফিস রাম মন্দির, মুম্বই পাকিস্তান”! কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড়

এদিকে, মার্বেল খনিতে ধসের ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁকেফাকর ছিল কি না তা নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।

 

Previous articleদুর্গাপুজো নিয়ে ভুয়ো পোস্ট কাণ্ডে ধৃত ২
Next articleসংঘাতের মধ্যেই মুম্বই পৌঁছলেন কঙ্গনা, বিক্ষোভ শিবসেনার