“আমার অফিস রাম মন্দির, মুম্বই পাকিস্তান”! কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড়

কঙ্গনা রানাওয়াত মুম্বইয়ের পথে আসতে আসতেই বিএমসির একের পর এক ছবি শেয়ার করতে শুরু করেন।কখনও ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ বলে তাঁর অফিস ভাঙার ছবি শেয়ার করেন কঙ্গনা। কখনও মুম্বইকে সরাসরি ‘পাকিস্তান’ বলেও কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’, ‘পাকিস্তান’ এবং ‘বুলিউড’ একযোগে এসব কাজ করছে বলেও তোপ দাগেন বলিউড কুইন।

তবে এদিন অভিনেত্রীর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ উক্তি, “আমার অফিস রাম মন্দির আর মুম্বই POK। বাবরের সেনার কীর্তি দেখুন।” মুম্বই পুলিশ ও বিএমসির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আক্রমণ শানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, মাদক-সহ একাধিক বিতর্ক ও উত্তেজনার মাঝেই আজ, বুধবার নিজের পেশার শহর মুম্বইযে এসে পৌঁছলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। হিমাচল প্রদেশে নিজের বাড়ি থেকে এদিনই মুম্বই আসেন কঙ্গনা রানাওয়াত। মুম্বই যাত্রার আগে মন্দিরে পুজো দেন কঙ্গনা। এদিন সকালে হামিরপুর জেলার কোঠিতে একটি মন্দিরে পুজো দেন বলিউড অভিনেত্রী।

অন্যদিকে, বিতর্কিত বলিউড অভিনেত্রীর মুম্বইয়ের অফিসে শুরু হয় ভাঙচুর। বুধবার সকালে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। উল্লেখ্য, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক বিতর্কের মধ্যেই কয়েকদিন ধরে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গে তীব্র বিরোধ শুরু হয় কঙ্গনার। গতকাল, মঙ্গলবার মনিকর্ণিকার এই অফিসে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। আর এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় ভাঙচুর।

তবে কঙ্গনার সম্পত্তি বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভাঙচুরে ওপর স্থগিতাদেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। এই নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই আপেদনের প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যদিও আদালতের নির্দেশের আগেই পালি হিলসে কঙ্গনার দফতরের একাংশ ভেঙে সাফ করে দিয়েছে বিএমসি। এরপর কঙ্গনার বাড়ির বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই জারি হল স্থগিতাদেশ। এই ঘটনার মাঝেই একাধিক বিতর্কিত টুইট করতে করতে মুম্বইতে পা রাখেন কঙ্গনা।

কঙ্গনার ওই টুইট দেখে তাঁকে পালটা আক্রমণ করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মজিদ মেমন। বাবর এবং তাঁর সেনা বলে মুম্বই পুলিশ কর্মীদের অপমান করেছেন কঙ্গনা। পুলিশ প্রশাসনের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যাক। এটাই কি কঙ্গনা চান? প্রশ্ন তোলেন মজিদ মেমন।

ফের পাল্টা মুখ খোলেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, শিবসেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগার ফলেই মহারাষ্ট্র সরকার সরাসরি তাঁর সঙ্গে সংঘাতে নেমে পড়েছে। বেআইনিভাবে তিনি কোনও নির্মাণ কাজ করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁর অফিস কেন ভাঙচুর করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেখানে সমস্ত নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে, সেখানে বেআইনিভাবে তাঁর অফিসে বিএমসি ভাঙচুর চালাচ্ছে বলেও তোপ দাগেন বলিউড অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন- কঙ্গনার অফিস-বাড়ি ভাঙচুরে স্থগিতাদেশ দিল বোম্বে হাইকোর্ট

Previous articleকমিশন না পেলে গণবণ্টন বন্ধের হুঁশিয়ারি রাজ্যের রেশন ডিলারদের
Next articleবাগানের সেই ‘বাবলা দে’ নাইজেরিয়ায় মারা গেলেন