অতিমারি পরিস্থিতিতে রেশন সামগ্রী চুরির অভিযোগ বেশ কয়েকজন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের লাইসেন্সও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারপরেও গণবণ্টনে তাঁরা কাজ করছেন বলে দাবি রেশন ডিলারদের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হলো অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।
তাদের বক্তব্য, মহামারি পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সরকার। যায় এখনও বহাল আছে। সংগঠনের দাবি, রেশন ডিলাররা প্রতি কুইন্টালে কমিশন হিসাবে পান ৭০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী পাওয়া উচিত কুইন্টাল প্রতি ৮৭ টাকা। সংগঠনের বক্তব্য, এপ্রিল মাস থেকে রেশন ডিলাররা ৭০ টাকা পাচ্ছেন না।
বিনামূল্যের রেশন দেওয়ার পরিকল্পনা এই প্রথম। মহামারি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সারা রাজ্যে ২০ হাজার রেশন ডিলার রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে কমিশন দিতে গেলে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সরকারের। এদিকে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছে টাকা পায় রাজ্য। সেই বকেয়া মকুব করা হচ্ছে না বলেই সরব হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে কমিশন না পেলে গণবণ্টন বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছেন রেশন ডিলারদের একাংশ।
অল বেঙ্গল রেশন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের যুগ্ম সম্পাদক নিখিলেশ ঘোষ ও সম্পাদক অচিন্ত্য সাঁতরার দাবি, দুরাবস্থায় রয়েছেন রেশন ডিলাররা। মহামারি পরিস্থিতিতে গণবন্টন করছেন তাঁরা। এদিকে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না।আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে, রেশন ডিলাররা সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেবেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে এরপর ১২ অক্টোবর রেশন অফিসের সামনে ধর্নায় বসবেন রেশন ডিলাররা। দাবি না মিটলে ডিসেম্বর মাস থেকে গণবণ্টন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠন।
আরও পড়ুন- কোভিড যোদ্ধার বেশে ৭ জামতাড়া গ্যাঙের সদস্য ধরল কলকাতা পুলিশ