রুটি-আচারের জীবন কাটিয়ে দুটি বাংলোর মালিক বলিউডের ‘কুইন’

এক সময় খাওয়া বলতে শুধু ছিল রুটি-আচার। সুদূর হিমাচল থেকে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন বি টাউনে। পরিবারের কারোর চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। হিমাচল প্রদেশের মান্ডির ছোট্ট শহর সুরজপুর থেকে একার লড়াই শুরু হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতের। রক্ষণশীল পরিবার চেয়েছিল মেয়ে চিকিৎসক হোক। কিন্তু কঙ্গনার লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু।

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনার জীবন শুরু হয়েছিল ভারসোভার এক কামরার ঘর থেকে। হিমাচল থেকে চণ্ডীগড়, দিল্লি থেকে মুম্বই, তিনি প্রতিটি স্তরে লড়াই করে এগিয়েছেন। একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে দিনে মাত্র একবার খাবার জুটত।
গ্যাংস্টার’ ছবির অফার পাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টায়। ঝুলিতে যোগ হয় ফ্যাশন এর মতো ছবিও। তিনটি জাতীয় পুরষ্কার পান কঙ্গনা। এরপরই শুরু হয় উড়ান।

মুম্বাইয়ের খারে কঙ্গনার একটি ৫ বিএইচকে ফ্ল্যাট রয়েছে। ‘ফ্যাশন’ ছবির সাফল্যের পরে, এই অভিনেত্রী সান্টা ক্রুজ হাইরাইজে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। বাড়ির ভোলবদলের জন্য ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার রিচা বহেলকে দায়িত্ব দেন। পাঁচ বেডরুমের ঘরে তিন বছর ধরে থাকছেন কঙ্গনা। তাঁর ফ্ল্যাটের থিম হিমাচল প্রদেশে কঙ্গনার বাড়ির কথা মাথায় রেখেই করা হয়। অন্যদিকে মানালির বাংলো ৩০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে আটটি বেডরুম, স্টেপ-আউট ব্যালকনি, একটি সংরক্ষণাগার, জিমনেসিয়াম, যোগ ব্যায়ামের জন্য একটি কক্ষ। ইউরোপীয় ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে ওই বাংলো।

সুশান্তের মৃত্যুর পরই সরব হন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বর্তমানে শিবসেনার সঙ্গে অভিনেত্রীর সংঘাত চরমে পৌঁছে গিয়েছে। দফায় দফায় শিবসেনার সঙ্গে বাকযুদ্ধ চলে অভিনেত্রীর। সেই সময় তিনি ছিলেন মানালিতে নিজের বাড়িতে। ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ফিরছেন বলে হুঁশিয়ারি দেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এরপরই অভিনেত্রীকে Y+ নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্র। এদিকে বুধবার বৃহন্মুম্বই পুরসভা কঙ্গনার অফিস এবং ফ্ল্যাট ভাঙে। পুরসভার যুক্তি, বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভাঙচুরের উপর বুধবারই স্থগিতাদেশ জারি করেছে বোম্বে হাইকোর্ট।

Previous articleঅনুপমের মুখে এবার ইংরেজি গান, আসছে নতুন ভিডিও
Next articleনজর ঘোরাতেই সুশান্তের মৃত্যুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করাচ্ছে কেন্দ্র, মত অধীরের