এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে লোকসভার কং দলনেতা অধীরের বদলে অন্য কেউ?

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মেনে এবার কি লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা পরিবর্তন হতে চলেছে? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই পদে এখন রয়েছেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর পছন্দের লড়াকু সাংসদ অধীর চৌধুরী। লোকসভার দলনেতা হিসাবে তাঁর আগ্রাসী বিজেপি বিরোধী পারফরম্যান্সে মোটের উপর সন্তুষ্ট কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু গোল বেধেছে অন্য জায়গায়। কংগ্রেসে এখন সাধারণভাবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এক ব্যক্তি এক পদ নীতির কথা বলছে দল। তা মানাও হচ্ছে। আর এই নীতি মানতে গেলে লোকসভার দলনেতার পদ ছাড়তে হয় অধীরবাবুকে। কারণ সোমেন মিত্রের শূন্যস্থানে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে সদ্য তাঁকে নির্বাচিত করেছেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ফলে এখন অধীর চৌধুরী খাতায় কলমে দলের দুটি পদে রয়েছেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আপাতদৃষ্টিতে দুটি পদে থাকলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মানলে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতার পদটি ছাড়তে হবে বহরমপুরের সাংসদকে।

ইতিমধ্যেই যেমন লোকসভার উপ দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাহুল ঘনিষ্ঠ সাংসদ গৌরব গগৈকে। এক্ষেত্রেও মানা হয়েছে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। তাই লোকসভার দলনেতার পদেও কংগ্রেস অধীরের পরিবর্তে অন্য কাউকে বসাতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আরও পড়ুন : দলে গুরুত্ব বাড়লো অধীর চৌধুরির

Previous articleনিট নিয়ে তুঙ্গে প্রস্তুতি, নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
Next article৫০ হাজার মুক্তিপণ, তাও কুমিরের!