শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর

জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের অভিযোগকে কার্যত ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশাঙ্ক। ভাষা নিয়ে রাজ্যের যে অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিযোগকেও গুরত্বহীন বলে মনে করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি এই অভিযোগ তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য। সেই অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

এক ভার্চুয়াল সভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেছেন, অনেকে শিক্ষানীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যা একেবারেই ভিত্তিহীন। রাজ্যের সঙ্গে শিক্ষানীতির বিষয় আলোচনা করা হয়নি, এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, শিক্ষানীতি সংক্রান্ত আলোচনায় কে, কী বলেছেন সেই প্রমাণ কেন্দ্রের কাছে আছে।

প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি জাতীয় শিক্ষানীতি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ধীরে চলার পক্ষপাতি রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, জাতীয় শিক্ষানীতির পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুরঞ্জন দাস, সৌগত রায়, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, অভীক মজুমদার, পবিত্র সরকার এবং নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে নিয়ে তৈরি সেই কমিটি ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যকে।

গত সপ্তাহের শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের এক আলোচনা সভায় একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ভষাকে ধ্রুপদী ভাষায় স্থান দেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষায় স্থান দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। এমফিল তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে রাজ্য। এই শিক্ষানীতি উচ্চ শিক্ষার পথ সংকুচিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রীয়করণ ও বাণিজ্যকরণ করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন : পরীক্ষা শেষ হওয়ার চার দিনের মধ্যে প্রকাশিত হলো জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল

Previous articleআর পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য সরকার?
Next articleড্রাগ নিতেন সারা আলি খান থেকে সিমন খাম্বাটা?এবার তাঁরাও জেরার মুখে