সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার আক্রমণ, অথচ সংসদ শুরু হতেই ফের বিদেশমুখী রাহুল!

লকডাউন পর্বে ও তার পরেও করোনা আবহে লাগাতার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে গিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সীমান্ত ইস্যু, চিন, করোনা সংকট, অর্থনীতি, পরিযায়ী শ্রমিক ইত্যাদি নানা বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মতামত দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এইসব বিষয় নিয়ে কেন সংসদে আলোচনা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। অথচ কাল যখন সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে, তখন ফের বিদেশমুখী রাহুল। তাঁর মা ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আমেরিকায় গিয়েছেন। সঙ্গে গিয়েছেন রাহুলও। ফলে মহামারি সংকটের মধ্যে শুরু হতে চলা সংসদের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে কংগ্রেসের শীর্ষ দুই ব্যক্তিই অনুপস্থিত থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই চিত্র দেশের প্রধান বিরোধী দলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। ঘরবন্দি থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব করার পরে আসল সময়ে সংসদে অনুপস্থিতি মোদির বিপক্ষে রাহুলের গ্রহণযোগ্যতাকে ফের কয়েক কদম পিছিয়ে দিল বলাই বাহুল্য।

এই মুহূর্তে দলের নির্দিষ্ট পদাধিকারী না হলেও স্রেফ গান্ধী পরিবারের তকমার জোরেই যে কোনও ইস্যুতে নিজের ইচ্ছেমত পদক্ষেপ ঘোষণা করেন কংগ্রেস সভানেত্রীর পুত্র রাহুল। দলের অধিকাংশ সিনিয়র পদাধিকারীর সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না বলে অভিযোগ তাঁর দলেই। বিভিন্ন ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা নেতারা রাহুলের বক্তব্যকেই দলের বক্তব্য বলে প্রচার করেন। কংগ্রেসের অন্দরমহলে রাহুলের এই কর্মপদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। নেতারা আড়ালে বলেন, সভাপতির দায়িত্ব মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে কোনও সাংগঠনিক দায়- দায়িত্ব পালন না করে শুধুই অলিখিত ক্ষমতা ভোগ করছেন রাহুল গান্ধী। যৌথ নেতৃত্ব অর্থাৎ কোনও ইস্যুতে সবাই মিলে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রথা কংগ্রেস থেকে কার্যত উঠে গিয়েছে। দলের অবস্থান কী হতে চলেছে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের বক্তব্য দেখে জানতে পারেন অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। অনেকেরই অভিযোগ, ক্ষমতা ছেড়েও আসলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন রাহুল। তিনি নিজের পছন্দের বৃত্তের বাইরে অন্য নেতাদের পাত্তাও দেন না। চিন বা সীমান্ত ইস্যুতে রাহুলের বহু মন্তব্যের সঙ্গে সহমত নন তাঁর দলের নেতারাই। এখন যখন সংসদে এই সব বিষয়ে সরকারকে চেপে ধরার সুযোগ এল, তখন বেপাত্তা রাহুল গান্ধী। শতাব্দী প্রাচীন দলের বেহাল অবস্থা এই চিত্রেই প্রকট।

আরও পড়ুন- প্রবল চাপে দিল্লি পুলিশ জানালো, দাঙ্গায় অভিযুক্ত নন ইয়েচুরি- যোগেন্দ্র যাদবরা

 

 

Previous articleরবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো, পরিবেশ আদালতে বিশেষ আবেদন কেএমডিএ-র
Next article“আমি মাদকাসক্ত ছিলাম,” কঙ্গনার পুরনো ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়