ফের ভুটানের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে লালফৌজ! তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী

ভুটানের পরে লাদাখ ছিল। লাদাখের পরে ফের ভুটান। লাদাখে এখনও দুই পক্ষের সমস্যার সমাধান হয়নি। একাধিক বৈঠকের পরেও সেনা সরানোর লক্ষণ নেই চিনের ।
এর মধ্যেই ভুটান সীমান্তেও তৎপরতা বাড়াতে শুরু করেছে লাল ফৌজ। জানা গিয়েছে, সীমান্তের মধ্য এবং পশ্চিম সেক্টরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
পশ্চিম সেক্টর‌এ ভুটানের ৩১৮ বর্গকিলোমিটার এবং মধ্য সেক্টরে ৪৯৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের বলে দাবি করতে শুরু করেছে বেজিং। ওই এলাকায় রাস্তা, সামরিক পরিকাঠামো বাড়ানো থেকে শুরু করে টহলদারি চালিয়ে রয়্যাল ভুটান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে চিন সেনা।
জানাগিয়েছে, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেজিং-থিম্পু ২৫তম রাউন্ডের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা চলতি মাসে। বৈঠকের আগে থিম্পুকে চাপে রাখতেই সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসন বাড়াচ্ছে পিএলএ।
এক দিকে উত্তরবঙ্গ, অন্য দিকে অসম। আবার অরুণাচলের বিতর্কিত এলাকা তাওয়াংয়ের সঙ্গেও রয়েছে ভুটানের সীমান্ত। শিলিগুড়ি করিডোরের ঠিক পাশেই ভুটান। আবার তাওয়াংয়েরও তাই। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, বেজিংয়ের চাপে পড়ে থিম্পু জমি ছাড়লে তা ভারতের পক্ষে অশনি সংকেত।
শুধু মধ্য বা পশ্চিম ভুটান নয়, পূর্ব ভুটানে ভারত–চিন সীমান্ত এলাকার কাছে সাকেতং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের দিকেও বেজিংয়ের নজর গিয়েছে। ওই অভয়ারণ্যের পাশেই অরুণাচল- যাকে চিন দক্ষিণ তিব্বত বলেই দাবি করে এসেছে।
এর আগে সাকতেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মালিকানার দাবি তোলা হয়েছিল সরাসরি আন্তর্জাতিক মঞ্চে। যদিও গত ২৯ জুন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি’ (জিইএফ)-এর সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভুটানের পাশে দাঁড়ানোয় চিনের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কিন্তু এ বার ফের সাকেতংয়ের উপরে চিনা নজরে ভারতে চিন্তা বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভুটানের পাঁচটি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে চিন সেনা। পূর্বে চুম্বি উপত্যকার কাছে অন্তত ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে তারা। লালফৌজ রাস্তা এবং হেলিপ্যাড বানিয়েছে বলেও অভিযোগ। সূত্রের দাবি, গত ১৩ এবং ২৪ আগস্টও দক্ষিণ ডোকালামের তোরসা নুল্লা এলাকায় টহল দিয়েছে লাল ফৌজ।
রাজা রানি হ্রদের কাছ থেকে পশুপালকদের তাড়িয়েও দেয় তারা। ঝাম্পেরি গিরিশিরার গায়মোচেন পর্যন্ত এলাকা নিজেদের কব্জায় আনতে চাইছে বেজিং। ২০১৭ সালেও ঠিক এটাই চেয়েছিল চিন সেনা, কিন্তু ভারত সে বার তা হতে দেয়নি। এবারও তাই ভুটানে চিনা তৎপরতায় দিকে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা।

Previous articleআইনজীবী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা, বুধে সাজা ঘোষণা
Next articleবিএড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি শিক্ষামন্ত্রীর