বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পার্লামেন্টের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে স্পিকার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পার্লামেন্ট ভবনের স্পিকারের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন- কেবিসিতে ৫ কোটি জিতেও নষ্ট হতে বসেছিল সুশীলের জীবন!
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের চলমান প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর দুর্যোগকালীন ঝুঁকি থাকা সত্বেও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাজেট অধিবেশনসহ দু’টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনলাইন প্রক্রিয়ার সংযোজন হয়েছে, যা মানুষের জীবনকে সহজ করেছে।
হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে ভার্চুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করে সব কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার ড. শিরীন ভারতকে বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সাক্ষাৎকালে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান স্পিকার। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজো শুভেচ্ছার দু’ট্রাক ইলিশ ভারতে