দিল্লিতে তিনি ‘পজিটিভ’, জয়পুরে ‘নেগেটিভ’! করোনা- রিপোর্টে বিস্মিত সাংসদ

মাঝে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান৷ দিল্লিতে পজিটিভ, অথচ জয়পুরে নেগেটিভ৷

দু’ধরনের করোনা- রিপোর্ট দেখে, রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন নাগৌরের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। তিনি বলেছেন, দিল্লিতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ, অথচ জয়পুরে রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। করোনার দু’রকম রিপোর্ট দেখে ধন্দে পড়েছেন রাজস্থানের নাগৌরের এই সাংসদ৷ তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না, আদৌ তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’টি রিপোর্টই তিনি শেয়ার করেছেন।

এদিকে, দিল্লিতে তাঁর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসায় সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি হনুমান বেনিওয়াল। ফিরে গিয়েছেন তিনি৷ কোনও উপসর্গ না-থাকায়, কোভিড নিয়ে নিশ্চিত হতে জয়পুরে ফিরে দ্বিতীয় বার টেস্ট করান নাগৌরের সাংসদ। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ দেখে তিনি আশ্চর্যই হয়েছেন।

এবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে প্রত্যেক সাংসদকে কোভিড টেস্ট করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার। সেই নির্দেশ মেনেই ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে এই সাংসদ কোভিড টেস্ট করান। লোকসভার যেসব সাংসদের করোনা ধরা পড়েছে, তাঁদেরই একজন নাগৌরের সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। রবিবার জয়পুরে দ্বিতীয় দফায় কোভিড টেস্ট করিয়ে, রিপোর্ট দেখে তিনি নিজেই বিস্মিত হন। একদিনের ব্যবধানে পরস্পরবিরোধী মেডিক্যাল রিপোর্টের শেয়ার করেন। হিন্দিতে তিনি লেখেন, ‘আপনাদের সঙ্গে দু’টি রিপোর্টই শেয়ার করছি। কোন রিপোর্টটি সঠিক বলে বিবেচনা করা উচিত?’

সংসদে করোনা পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল ICMR বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ । জয়পুরে ফিরে সোয়াই মান সিং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফের করোনা পরীক্ষা করান ওই সাংসদ। সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।
দু-বারই RT-PCR পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা হয়েছে সাংসদের। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার তুলনায় RT-PCR পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার ফল অনেক নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয়। দু’ দিনের ব্যবধানে পরীক্ষা দু’টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, যে ২৫ সাংসদের করোনা ধরা পড়েছে, তার মধ্যে ১৭ জনই লোকসভার। এর মধ্যে বিজেপি’রই ১২ সাংসদ রয়েছেন। এ ছাড়া ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২ জন, শিবসেনা এবং ডিএমকে-র একজন করে সাংসদ রয়েছেন। তা ছাড়া রয়েছেন আরএলপি-র হনুমান বেনিওয়াল।

Previous articleগোটা বাংলা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা!
Next articleপুরুষাঙ্গ ছেদই ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি, ইমরান খানের মন্তব্যে শুরু বিতর্ক