ইচ্ছে থাকলেই দুর্গাপুজোর ভোগ পৌঁছবে বাড়ির দোরগোড়ায়! মাত্র ২১ টাকায়

অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেই হবে চলতি বছরের বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো। স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে পুজো প্যান্ডেলে। পরতে হবে মাস্ক। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব। আর তা না হলেই ‘কোভিড পজিটিভ’। এতসবের মধ্যে পুজোর ভোগ না পেলে বাঙালির মন খারাপ। কিন্তু তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করার কারণ নেই। এবার বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে কলকাতার বড় বড় দুর্গাপুজার ভোগ। স্মার্টফোনের মাধ্যমেই এক ক্লিকেই অর্ডার করে ফেলতে পারবেন ভোগ। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এবছর দুর্গা ঠাকুর দেখার কথা আগেই জানানো হয়েছে। এবার অনলাইনেই ভোগ বিতরণ।

এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন একজন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার। নাম দেব দত্ত। একটুও যাতে মন খারাপ না হয় সেই কারণে তিনি নিয়ে এসেছেন একটি অভিনব অ্যাপ। তার নাম ইয়োটো। ক্লিক করুন : https://yotto.in/

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করতে হবে এই অ্যাপটি। অ্যাপের মাধ্যমে সোজা ভোগ পৌঁছে যাবে মণ্ডপ থেকে আপনার বাড়ির দরজায়। অ্যাপটি খুললে সেখানে ভোগ নামে একটি সেকশন থাকছে। প্রথমেই সেই সেকশনে লগইন করতে হবে। এখানে নিজের বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী তিন থেকে চার কিলোমিটার পরিধি বিশিষ্ট এলাকার মধ্যে যেসব বারোয়ারি এবং বনেদি পুজো ভোগ করছে তাদের নাম দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর নিজের পছন্দমত পুজো কমিটির ভোগ অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ি ভাড়া বাবদ ডেলিভারি বয়কে মাত্র ২১ টাকা দিতে। তবে এই ভোগ বুকিং করা যাবে পুজোর আগেই। অর্থাৎ পঞ্চমী পর্যন্ত বুকিংয়ের শেষ সময়।

অ্যাপটির আবিষ্কর্তা দেব দত্ত বলেন, “শুধু ভোগ খাওয়ার ইচ্ছে থাকা চাই। তাহলেই ঘরে বসেই মিলবে ঠাকুরের প্রসাদ। ইতিমধ্যে কুড়ি থেকে পঁচিশটি পুজো কমিটির সঙ্গে কথাবার্তা সম্পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সার্বজনীন, টালা বারোয়ারি। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে রয়েছে, বেহালা এসবি পার্ক, চক্রবেরিয়া সার্বজনীন পুজো কমিটি। বনেদি পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে শহরবাসী ভোগ খেতে পারবেন শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোর।

এই অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া যাবে অন্যান্য খাবারেরও। যেমন ফুচকা, লিট্টি, ঝাল মুড়ি চুরমুর। এছাড়া তো থাকছেই বিরিয়ানি, চাউমিন, চিলি চিকেন, ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি।

আরও পড়ুন- উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধের নিদান দিয়ে ফের বিতর্কে অনুব্রত

Previous articleপরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সংসদে সরব মালা, সাফাই নিত্যানন্দের
Next articleBREAKING: গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দিরের কাছে বিধ্বংসী আগুন