স্কুলের পাঠ্যবই ও কয়েনে ভারতের ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দেখাচ্ছে নেপাল!

স্কুলের পাঠ্যবই ও দেশের কয়েনে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল সরকার। এই ঘটনা ভারত- নেপাল সম্পর্কে নতুন করে চোনা ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও শি জিনপিং প্রশাসনের মদতে ভারত বিরোধী উস্কানি জারি রাখার সাহস পাচ্ছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। চিনের প্রত্যক্ষ মদতে ভারত বিদ্বেষী নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এর আগে ভারতের তিনটি জায়গাকে নেপালের মধ্যে জুড়ে সংসদে সেই প্রস্তাব পেশ করিয়ে নেন। এরপর ভারতের সঙ্গে বিরোধ আরও বাড়িয়ে মানচিত্র বিতর্ককে তীব্র করলেন তিনি। চিনের মদত ছাড়া ভারতের সঙ্গে টক্করের সাহস পেতেন না ওলি, এটা সবার কাছেই পরিষ্কার। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওলির নেতৃত্বাধীন নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি ভারত বিরোধী জিগির তুলে ঐতিহাসিকভাবে মজবুত ভারত- নেপাল মৈত্রীর পরম্পরাকে ধ্বংস করতে নেমেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পুয়াধুরাকে নিজেদের বলে চিহ্নিত করে নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে সেদেশের কমিউনিস্ট সরকার। নেপালের স্কুলের পাঠ্য বইতেও এবার সেই মানচিত্রকে মান্যতা দিল ওলি সরকার। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। নেপালের পাঠ্যবইতে এবার পিথোরাগড়কে নেপালের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানো হয়েছে। নেপালের শিক্ষামন্ত্রী গিরিরাজ মনি পোখারেল নিজেই এই খবর জানিয়েছেন। নেপালের ভূখণ্ড সংক্রান্ত ওই বই সেদেশের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য। শিক্ষামন্ত্রী নিজেই ভূমিকা লিখেছেন। আর সেখানে বিতর্কিত এলাকা কালাপানিকে নেপালের অংশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই বইতে নেপালের মোট ভূখণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে ১,৪৭,৬৪১.২৮ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু কালাপানি এলাকা ধরা হয়েছে ৪৬০ বর্গ কিলোমিটার।

অন্যদিকে নেপালের মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে যাতে সেদেশে নতুন মানচিত্র সংযোজিত করে নতুন ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন তৈরি করা হয়। দশেরার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কয়েন প্রকাশ করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।

ভারত বিদ্বেষী ওলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ তলানির দিকে গিয়েছে। সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দেশে জাতীয়তাবাদী হাওয়া তুলতে চাইছেন ওলি। ভারতের অংশ জুড়ে নেপালের নতুন মানচিত্র তারই সূত্রপাত। ভারতের তিনটি জায়গা নিজেদের মানচিত্রে রেখে বিতর্কের মুখে পড়েছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। এবার সেই বিতর্কিত মানচিত্রই ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। এমনকী শুধু ভারতেই নয়, গুগল ও ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির কাছেও ওই মানচিত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নেপালের ওই পরিবর্তিত মানচিত্রে জায়গা পেয়েছে ভারতের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা।

আরও পড়ুন- এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল, তোপ সৌগত, শোভনদেবের

Previous articleএক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করছেন রাজ্যপাল, তোপ সৌগত, শোভনদেবের
Next article‘হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে চাই’, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইচ্ছেপূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী