কথায় আছে চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড় ধরা।

সেই মহাবিদ্যাই রপ্ত করেছিল গড়িয়া স্টেশন লাগোয়া মহিলা। কখনও হানি ট্র্যাপ, কখনও বয়স্ক মানুষের ‘সাহারা’। এভাবেই একাকী যুবক, বয়স্কদের পরিবারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক। বিশ্বাস-ভরসা আদায়ের পরই বাড়িতে যাতায়াত লেগে থাকত। আর সেই সুযোগই নিত মহিলা। বাড়ি, আলমারির চাবির ছাপ কৌশলে নিয়ে নকল চাবি বানাত সে। তারপর সুযোগ বুঝে চুরি। আর যাই হোক তাকে সন্দেহের কোনও কারণই থাকত না।

কিন্তু মহাবিদ্যা ব্যর্থ হলে যা হয়। শেষপর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।একটি বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছিল গয়না। তদন্ত নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তখনই জানা যায়, বাড়ির মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মহিলার। স্ত্রী না থাকার সুযোগে মাঝেমধ্যেই মহিলা বাড়িতে আসত।

আরও খবর : থালা নিয়ে তরজায় নিশানা ফের জয়া, প্রতিবাদ ‘শক্তিমান’ ও রণবীরের

মহিলা গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের থার্ড ডিগ্রি খেয়ে মুখ খুলেছে। জানিয়েছে, এটাই হত তার চাল। প্রথমে বাড়ির লোকের বিশ্বাস অর্জন। তারপর চাবি হাতিয়ে বা নকল বানিয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মারা।মহিলা গয়নার সঙ্গে রশিদও নিয়ে যেতেন। যাতে বিক্রিতে সমস্যা না হয়। বাড়তি দামও মেলে।

এভাবেই চুরি চক্র চলছিল কখনও হানি ট্র্যাপে পুরুষ মানুষকে ফাঁসিয়ে কখনও বয়স্ক মানুষকে সাহায্যের নামে তাঁদের ভরসা অর্জন করে। প্রথমেই পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠত মহিলা। জেনে নিত কোথায়, কী আছে। তারপর সুযোগ বুঝে হত অপারেশন। ওই মহিলার নাম জানায়নি পুলিশ। তবে তার সহযোগী হিসেবে কমল ভৌমিক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গড়িয়া এলাকার মহিলার বাড়ি থেকে গয়না, টাকা উদ্ধার হয়েছে।
