মে থেকে অগাস্টে চাকরি হারিয়েছেন ৫৯ লক্ষ হোয়াইট কলার, বলছে সমীক্ষা

মহামারির জেরে ভারতের কর্মক্ষেত্রে ভয়াবহ সঙ্কট৷ বেড়েই চলেছে বেকারত্ব। লকডাউনের প্রভাব দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে৷

এক সমীক্ষা এই তথ্য জানানোর পাশাপাশি বলছে, গত ৪ মাসে, অর্থাৎ মে থেকে আগস্টে, ভারতে প্রায় ৫৯ লক্ষ কায়িক শ্রম করেন না এমন ‘হোয়াইট কলার’ কর্মচারী চাকরি খুইয়েছেন। এর মধ্যেই রয়েছেন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, অ্যাকাউন্ট্যান্টরা। বলা হয়েছে বেকার হচ্ছেন চিকিৎসকরাও। এর মধ্যে অবশ্য সেল্ফ এমপ্লয়েড কোয়ালিফায়েড প্রফেশনালদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সমীক্ষায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, হোয়াইট কলার ডেস্ক এমপ্লয়ি অর্থাৎ যাঁরা ডেস্কে কাজ করেন বা বিপিও-তে কাজ করেন, এমন কর্মীদের উপর লকডাউনে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কারণ, এই কর্মীদের বড় অংশই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করেছেন। CMIE সংস্থার কনজিউমার পিরামিডস হাউজহোল্ড সার্ভে রিপোর্টেই উঠে এসেছে বেকারত্বের এই ভয়াবহ ছবি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহামারির জেরে গত মার্চের শেষ থেকে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন শুরুর পর থেকেই ভয়ঙ্করভাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আনলক পর্ব শুরু হলেও সঙ্কট কাটছে না।

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালের মে থেকে আগস্টের মধ্যে হোয়াইট কলার পেশাদারদের ক্ষেত্রে দেশে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়। সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর, ওই ৪ মাসে সেই সংখ্যার খুব একটা বদল হয়নি।

কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসেই কর্মসংস্থান কমে হয় ১ কোটি ৮১ লক্ষ। রিপোর্ট বলছে, করোনার প্রভাব তখন থেকেই শুরু হয়। এরপর মে থেকে আগস্ট অর্থাৎ এই ৪ মাসে কর্মসংস্থান হঠাৎই অনেকটা নেমে যায়। এই সময় কর্মসংস্থান হয় ১ কোটি ২২ লক্ষ। অর্থাৎ লকডাউন ও আনলক পর্বের ৪ মাসে ৫৯ লক্ষ পেশাদার কর্মী তাঁদের চাকরি খুইয়েছেন। ২০১৯ সালের মে থেকে আগস্টের সঙ্গে এই সংখ্যার তুলনা করা হলে, দেখা যাচ্ছে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ৬৬ লক্ষ।

পাশাপাশি বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিল্পের শ্রমিকরাও। গত বছরের তুলনায় এই সময় প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। লকডাউনের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কিংবা বন্ধ থাকায় তাঁদের অনেককেই কাজ হারাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন : মন্ত্রী- সাংসদদের বেতন, ভাতা, পেনশন ৩০% কমলো, ২ বছর বন্ধ MP-LAD

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleকলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নয়, রাজ্যকে চিঠি ইউজিসি-র