বাঙালিকে মাছ খাইয়ে মুনাফা তুলছে রেল

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাকি বাড়ে সামুদ্রিক মাছে। মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে তাই ইদানিং এক টুকরো সামুদ্রিক মাছ রাখাটা জরুরি হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে আছে বর্ষাকালে ইলিশের চাহিদা। আর বাঙালিকে মাছ খাইয়ে মুনাফা তুলছে রেলওয়ে। কারণ এই সব মাছের যোগান বেশির ভাগই আসে গুজরাট থেকে। লকডাউনের কারণে গত কয়েক মাস মাছের পরিবহনের সবটাই হয়েছে রেলপথে। বাংলায় এই মাছ সরবরাহ করে লকডাউনেও লক্ষ্মীলাভ করেছে ভারতীয় রেল।

সামুদ্রিক মাছের বেশির ভাগটাই আসে পোরবন্দর থেকে। পদ্মার ইলিশ রাজ্যে আসায় রাজ্যবাসী খুশি হলেও, অধিকাংশ সময় বাঙালি সমুদ্রের ইলিশ খান। পোরবন্দর-শালিমার পার্সেল স্পেশ্যালে গত কমাসে মাছ এসেছে ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ১৮০ কেজি মাছ। পশ্চিম রেলের ভাবনগর ডিভিশন এই মাছ সরবরাহ করে। ৯ এপ্রিল থেকে ৭২ ট্রিপ মাল রাজ্যে এসেছে। যার মধ্যে শুধু মাছ গিয়েছে চোদ্দো লক্ষ এগারো হাজার কিলো। আয় হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। মাছ ধরার জাল গিয়েছে ১,৩৮,১২০ কিলো। সেখান থেকে রেলের আয় হয়েছে ৭,৫১,২৩৫ টাকা।
রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুমিত ঠাকুর বলেন, বাংলায় মাছের চাহিদার যোগান দিচ্ছে রেল। রাজকোট থেকে মাছ লোডিং হয়ে শালিমারে আসে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন বড় মাছ বাজারে।

হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাসুদের কথায়, মাসে প্রায় পাঁচশো টন ইলিশের যোগান আসে পোরবন্দর থেকে, যার দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ইলিশের সঙ্গে নূরে ভোলা ও কলকাতা ভেটকির অধিকাংশ যোগান আসে সেখান থেকেই। বাঙালির নানা অনুষ্ঠানে এই ভেটকির চাহিদা খুব।

আরও পড়ুন-নিম্নচাপ গভীর হওয়ার আগেই সরে গেল ওড়িশায়

Previous articleসাত রাজ্যের সঙ্গে কাল ফের করোনা- বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
Next articleস্ত্রীর মন পেতে দু’বিঘা জমি বেচে হাতি কিনলেন কৃষক!