Monday, December 29, 2025

দলবদলুদের নিয়ে দিলীপের দু’বার দু’রকম কথা

Date:

Share post:

অদ্ভুত যুক্তি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলে একের পর এক বিজেপির নেতা-কর্মীদের যোগদান প্রসঙ্গে বললেন, আসলে এসব পিকের বুদ্ধি। দলের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই জয়েনিং চালিয়ে যেতে হবে। নেতারাও এই জয়েনিং কর্মসূচিতে মহা বিপদে। যখন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না, তখন, দলের পুরনো লোকদের ডেকে এনে পতাকা তুলে দিচ্ছে। এরপরেই সুর পাল্টে দিলীপ বলেন, কারা তৃণমূলে যাচ্ছে? যাদের বিজেপি তাড়িয়ে দিয়েছে। কাদের বিজেপি তাড়িয়েছে? যারা ভেবেছিল এই দলে এসে চুরি-চামারি লুটে-পুটে খাওয়া যাবে। এই কাজে বাধা পেয়েই এরা তৃণমূলে ফিরছে।

আরও পড়ুন- দমদমে গেরুয়া পার্টি অফিস সবুজ করে দিলেন বিদ্রোহী আদি বিজেপি কর্মীরাই

বুধবার দিল্লিতে বৈঠকের শেষে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলীয় সাংসদরা সহ দলের অন্য নেতৃত্ব বিক্ষোভ দেখান। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান… ‘ বদল হবে/ হাল ফিরবে।’ তাঁদের দাবি এবং অভিযোগ,
ক. আমফানে যে দুর্নীতি হয়েছে তার পাই পয়সার হিসাব চাই।
খ. প্রশাসনের প্রশ্রয়ে রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে। অবিলম্বে এই প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে।
গ. গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত। প্রাশাসন সরকারি দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ-আমলাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
ঘ. কৃষিবিল নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বরং এই বিল কৃষকদের স্বাধীনতার পর এবার প্রকৃত স্বাধীনতা পেল
ঙ. স্কুল কলেজে চাকরির সুযোগ চাই। নিয়োগ চাই

spot_img

Related articles

সংস্কার, গতিশীলতা ও সিদ্ধান্ত: ২০২৫-এ যে পথে ভারতের অর্থনীতি

গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনাবলী ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৫-এ...

মঙ্গলে বাঁকুড়ায় মমতা, SIR আবহে নির্দেশের অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য জুড়ে যখন এসআইআর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ, ঠিক সেই আবহেই মঙ্গলবার...

বিশেষ সংশোধনীতে প্রবীণ ভোটারদের স্বস্তি! শুনানিতে হাজিরার বাধ্যবাধকতা নয় 

রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের শুনানিতে হাজির হতে বাধ্য...

বাঁশ-লাঠি দিয়ে মার, তারপর পুলিশে তুলে দেওয়া! ওড়িশা থেকে কোনওমতে মালদহে পরিযায়ী

শুধুমাত্র বাংলা বলায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনওভাবেই কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটাই যেন মোহন মাঝি শাসিত ওড়িশায়...