সম্বল বলতে আছে এক চিলতে জমি এবং মাথার উপর এক টুকরো ছাদ। সঞ্চয় শূন্য। হাতে নেই টাকা-পয়সা। এরই মধ্যে ৫ ছেলেমেয়েকে নিয়ে লড়াই করার অবিরাম প্রচেষ্টা মায়ের।
৫ ছেলে মেয়ের মধ্যে সবাই প্রায় অসুস্থ। চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন প্রচুর টাকার। কিন্তু মায়ের সেই সামর্থ্য নেই। তাই নিজের অঙ্গ বিক্রি করতে রাস্তার ধারে ‘বিজ্ঞাপন’ দিতে বসলেন কেরলের বাসিন্দা বছর ৪৪ এর সাথী দেবী। সঙ্গে ছিল একটি প্ল্যাকার্ড। যেখানে লেখা, সব অঙ্গ এমনকী হার্ট বিক্রি করা হবে। কেউ চাইলে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে যান।
জানা গিয়েছে এই মহিলার ৫ সন্তানের মধ্যে ৪ ছেলে এবং ১ মেয়ে। পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে বড় ছেলে। ভেঙে গিয়েছে তাঁর পা। মাথা দু টুকরো হয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে টাকা জোগাড় করে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ নয়। সাথীর মেজো ছেলে জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। ৭ বছর বয়সে জটিল অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু ২৩ বছরের ওই যুবক এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেনি। ২০১৩ সালে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় মেয়ে। তারপর থেকে সেও অসুস্থ।
ছোট সন্তান যখন সাথীর গর্ভে সেই সময় স্বামী ছেড়ে গিয়েছিল। অসুস্থ, বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানদের নিয়ে একাই লড়াই করে চলেছেন মা। সন্তানদের সুস্থ করে তুলতে ঋণের পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই এখন দমবন্ধ অবস্থা। সাথীর অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সমস্যা সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে ত্রিপল খাটিয়ে বসেছিলেন তিনি। সাথীর এই অবস্থার দিকে নজর যায় সংবাদমাধ্যমের। শেষমেষ নড়েচড়ে বসে কেরল সরকার। সাথী ও তাঁর সন্তানদের অস্থায়ী পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেরল সরকার।
আরও পড়ুন-স্বেচ্ছাবসরে বিহারের DGP গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে, ভোটে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা