সংক্রমণ বাড়ছে, তবুও একঘরে ২০-২৫ জন বন্দি, রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

calcutta high court
কলকাতা হাইকোর্ট

করোনা-আবহে বন্দিদের শারীরিক সুরক্ষা নিয়ে ফের স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এব্যাপারে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে।

রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সময়ই আদালতের নির্দেশে জেলবন্দিদের
প্যারোলে ছাড়া হয়েছিলো৷ করোনা পর্বে বন্দিরা এই ছাড় পেলেও এখন প্যারোলের মেয়াদ ফুরিয়েছে। ফলে বন্দিদের আবার ফিরে আসতে হয়েছে সংশোধনাগারে৷ এদিকে এখনও সংক্রমণের হার কমেনি৷ রাজ্যে মৃত্যু সংখ্যাও উদ্বেগজনক৷ সংশোধনাগারে দূরত্ব- বিধি মেনে চলা অসম্ভব৷ যে ঘরে বড়জোর ১০ জন থাকতে পারে, কারা দফতর সেই ঘরেই থাকতে দিয়েছে ২০-২৫ জনকে। করোনা- পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতি আশঙ্কা বৃদ্ধি করছে৷ জানা গিয়েছে, একসঙ্গে নয়, এখন পালা করে ঘুমোচ্ছেন বন্দিরা। একদল ঘুমোচ্ছে দিনে, অন্য দল রাতে।

আর এই ঘটনা জানার পরই কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এ ধরনের ব্যবস্থাকে স্পষ্টভাষায় নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এব্যাপারে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে যে ৩০-৩৫ জন বন্দি মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দি রয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে ADG ও IGকে।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে মোট বন্দির সংখ্যা ২৩, ৮৮১ জন। এঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৮২ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৩০৪ জনই এখন সুস্থ। আরও ১৪ জন রয়েছেন, যাঁদের শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ নেই। বাকি ৬৪ জনের মধ্যে করোনার কিছু লক্ষণ রয়েছে। এঁদের নিয়মিত চেকআপ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে চুক্তির ভিত্তিতে জনাকয়েক ডাক্তারও নিয়োগ করেছে করা দপ্তর। তা ছাড়া, বন্দিদের প্যারোলের মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে কি না, সে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ফলে বাধ্য হয়েই বন্দিদের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে। এই মামলার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জ বন্দিদের পালা করে ঘুমোনোর বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, সংশোধনাগারগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। আদালত কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট IAS এবং IPS অফিসারদের নোটিশ পাঠানোর সময় এসেছে। সংশোধনাগারগুলিতে যত সংখ্যক বন্দিকে রাখা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। ফলে এই সংক্রমণের সময়ে ভিতরের পরিবেশ গুরুতর আকার নিয়েছে।অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

Previous articleঅক্টোবর থেকে কলকাতা থেকে রোজ ৬ শহরে বিমান চলাচলের আশা
Next articleবলিউডের মাদককাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মিমি! অভিনেত্রীর নিশানায় পিতৃতন্ত্র