কৃষিবিল নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে,কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত: মোদি

কৃষি বিল নিয়ে যখন ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ তখন শুক্রবার কৃষিবিলের সমর্থনে ফের সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনার সূচনায় নাম না করে বিরোধীদের এক হাত নিয়েছেন তিনি । এদিন তিনি অভিযোগ করেছেন, কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। কৃষিবিল নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এতদিন জটিল আইনের জালে আটকে ছিল কৃষকদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই আইনের সরলীকরণ করা হয়েছে । উদ্দেশ্য কৃষকদের উন্নয়নের পথ সুগম করা। এই বিল নিয়ে কৃষকদের আরও বোঝাতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- বিহার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা
তিনি এদিন স্পষ্ট জানান, গুজব ছড়ানো হচ্ছে কৃষি বিল নিয়ে । এই বিল নিয়ে কৃষকদের আরও বেশি করে বোঝানোর জন্য দলীয় কর্মীদের এই এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, নতুন কৃষি বিলে কৃষকদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। মোটা টাকা ঋণ নিয়ে আর তাঁদের চাষ করতে হবে। নিজেদের ফসলের সঠিক দাম কৃষকরা পাবেন। ফড়েদের দাপট কমবে। এই বিলের আওতায় কৃষির সঙ্গে যুক্ত ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে শ্রমিক সকলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা হয়েছে। ঠিকা শ্রমিকরাও এবার নির্দিষ্ট বেতনের মতো মজুরি পাবেন। মহিলা শ্রমিকরাও এবার সমান মজুরি পাবেন। তাঁদের ভবিষ্যৎও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
কিন্তু কেন এই নতুন কৃষিবিল? তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদি । তিনি বলেছেন, এই নতুন কৃষি বিলের সাহায্য দুর্নীতি দূর হবে। সকলকে আত্মনির্ভর করাই সরকারের লক্ষ্য। এতোদিন কৃষকরা সঠিক দাম পেতেন না নিজেদের ফসলের ফড়ে এবং দালালরা তাঁদের লুঠ করে নিয়ে যেত। সেই প্রবণতা কমবে। নিজেদের ফসলের দাম নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন কৃষকরা ।

আরও পড়ুন- রিয়ার দৌলতেই জেরা চলছে রকুলপ্রীতের, ফের ডাক করিশ্মাকেও
তিনি জানিয়েছেন, ঠিকা শ্রমিকদের পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
দলীয় কর্মীদের ভোকাল ফর লোকাল নিয়ে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের নিজের এলাকায় স্থানীয় পণ্যকে বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষানীতি নিয়েও নিজের নিজের এলাকায় মতের আদান প্রধান করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসার আর বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষকদের মতোই বহু বছর ধরে শ্রমিকদের আইনের যাঁতাকলে আটকে রাখা হয়েছিল। ক্ষেত, নির্মাণ, সংবাদমাধ্যম, চিত্র নির্মাণ, শিল্পে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইন ছিল। কৃষকদের পাওনা থেকে যারা বঞ্চিত করে রেখেছিলেন কৃষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে চালাচ্ছেন তারা।মানুষকে সরকারি নীতি নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রের কল্যাণ ছেড়ে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মানুষের কাছে তাই সরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি। তাদের নীতি সাধারণ মানুষের বোধগম্য হতো না। দেশের খুব বেশি সংখ্যক কৃষকের হাতে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যারা পশুপালন এবং মাছ চাষের যুক্ত রয়েছেন তারাও সুবিধা পাচ্ছেন। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার কৃষকদের জন্য ভেবেছে। দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের সঙ্গে কৃষকদের সংযোগ স্থাপন করার জন্য চেষ্টা করছে সরকার।বহু বছর ধরে কৃষক এবং শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য দাবি-দাওয়া উঠেছিল।

আরও পড়ুন- দেশ জুড়ে ৩১ কৃষক সংগঠনের ভারত বনধ
বহু স্লোগান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সব মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছিল। বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলির পক্ষ থেকে যুবসমাজ, শ্রমিক শ্রেণী এবং সাধারন মানুষের কল্যাণে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Previous articleড্রাগ-কাণ্ডে করণকে জেরা এখন কিছু সময়ের অপেক্ষা
Next articleদেড় মাসের লড়াই শেষ, প্রয়াত এসপি বালাসুব্রহ্মনিয়ম