করোনার থেকেও মারাত্মক আকার নিতে পারে ব্রুসেলোসিস! আশঙ্কা গবেষকদের

একা করোনায় রক্ষা নেই, ব্রুসেলোসিস দোসর!

করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে ভারতে বিপর্যস্ত জনজীবন। চারিদিকে শুধু মৃত্যু মিছিল। এরইমধ্যে করোনার থেকেও ভয়ংকর এক ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস এসে হাজির দেশে। নাম ব্রুসেলোসিস। আরও একবার নতুন বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে দেশবাসী। গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, এখনই সাবধান না হলে আরও একটি ভয়ঙ্কর মহামারি অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।

ব্রুসেলোসিস শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। ফলে এই সংক্রমণ করোনার থেকেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। গবেষকদের দাবি, ব্রুসেলোসিস মহামারি কোভিড-১৯-এর থেকেও বহুগুণ মারাত্মক হতে পারে। এই কারণেই শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

কী এই ব্রুসেলোসিস?

ব্রুসেলোসিস-এর নামকরণ করা হয় তার কাসেটিভ অর্গানিজম-এর পরে। ব্রুসেলা হলো ব্যাকটেরিয়া একটি গোষ্ঠী। এটি একটি বিরল রোগ। ব্রুসেলোসিস হলো একটি সংক্রমণ যা প্রাণী এবং মানুষের উভয়েকেই প্রভাবিত করে। নোংরা খাবারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াগুলি ছড়ায়। এটি বাতাসের মাধ্যমে একটি খোলা ক্ষতর সংস্পর্শেও ছড়াতে পারে।

এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কী কী?

ব্রুসেলোসিস’এর উপসর্গ গুলি হল- জ্বর, গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, খাবারে অরুচি, মাথাব্যথা এবং অত্যাধিক ঘাম। ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর কয়েক মাস পর্যন্ত শরীরে জীবিত থাকে এই ব্যাকটেরিয়া, এই সময়ের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

ব্রুসেলোসিস হওয়ার কী কী কারণ রয়েছে?

এই অবস্থার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ব্রুসেলা’কে মূলত কাঁচা মাংস এবং আনপস্টিউরাইজড দুধে পাওয়া যায়। যৌন সংযোগের মাধ্যমে, শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের থেকে শিশুর শরীরে ঢুকে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। দূষিত বায়ু থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যদি শরীরে কোনো ক্ষত বা আঘাত থাকে তাহলেও সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা প্রবল।

কীভাবে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়?

যখন রোগীর চিকিৎসায় একেবারে সাড়া দেয় না তখন ব্রুসেলোসিস নির্ণয়ের জন্য ওয়ারেন্ট টেস্টিং করতে হতে পারে। টেস্টের উপায় গুলি হল-
▪️ রক্ত পরীক্ষা
▪️ প্রস্রাব পরীক্ষা
▪️ সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা
▪️ অস্থিমজ্জা পরীক্ষা

ব্রুসেলোসিস-এর চিকিৎসা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। চোখে পড়ার মতো উন্নতি দেখা যাওয়া দেওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসা করতে হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটি পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতএব ঔষধের কাছে বেশি না যাওয়া তাদের চারপাশে থাকার সময় সতর্ক হওয়া দরকার। কনজিউম করা মাংস এবং আনপস্টিউরাইজ নিত্য সামগ্রী পরিহার করা উচিত। তবে কোভিডের মত এরও ভ্যাকসিন নেই।

জানা যাচ্ছে, কোভিড-এর মতোই ব্রুসেলোসিস এর জন্ম চিনে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে চিনের একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্যাকটেরিয়া। চিনের গানসু প্রদেশের রাজধানী শহর লানজুর জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৩২৪৫ জন ব্রুসেলোসিস-এ আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন-৫ সেপ্টেম্বর নয়, বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটিই হোক ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস’, চিঠি মোদি-মমতার কাছে

 

Previous articleশ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সুশান্তকে, বিস্ফোরক অভিনেতার পরিবারের আইনজীবী
Next article‘BCD’ ফর্মুলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু দীপিকাকে