ফোন জমা দিয়ে গ্রেফতারির শঙ্কা নিয়ে বাড়ি গেলেন দীপিকা

মাদকযোগের তদন্তে সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো বলিউড অভিনেত্রীকে দীপিকা পাডুকোনকে। এদিন দীপিকার ফোন বাজেয়াপ্ত করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এনসিবি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অভিনেত্রী এবং তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। এদিনের বয়ানের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এনসিবি।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন ‘BCD’ ফর্মুলায় জেরা করা হয় অভিনেত্রীকে। এই ফর্মুলায় ‘B’ হলো দীপিকার বেসিক ইনফরমেশন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় কবে থেকে ফোন নম্বর ব্যবহার করছেন তিনি। কবে থেকে ওই মোবাইল ব্যবহার করছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ‘C’ হলো দীপিকার চ্যাট প্রসঙ্গ। যেখানে জানতে চাওয়া হয় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিস্তারিত বিবরণ। মূলত ড্রাগ সম্পর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ‘D’ হলো দীপিকাকে মাদক সম্পর্কে প্রশ্ন।

এনসিবি দীপিকার কাছে জানতে চান তিনি ড্রাগ নিতেন কি না? উত্তরে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ড্রাগ নিতেন না। তাহলে কেন হোয়াটসঅ্যাপে করিশ্মার সঙ্গে ড্রাগ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন? ড্রাগ চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। তবে ড্রাগ না নিয়েও কেন সেই বিষয়ে আলোচনা তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তদন্তকারীদের দীপিকা জানিয়েছেন তিনি কোকো পার্টিতে যেতেন। সেখানে গিয়ে সিগারেট খেতেন। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, করণ জোহরের বাড়ির পার্টির কথাও। যে ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর কে পি এস মালহোত্রা অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরায় ছিলেন সিটের ৫ জন আধিকারিক। পাশাপাশি করণ জোহরের বাড়ির পার্টির যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁকে এক জেরা করা হয়। এরপর করিশ্মাকে ডাকা হয়। এদিন প্রায় ২ ঘণ্টা দীপিকা এবং তাঁর ম্যানেজার করিশ্মাকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, দুজনের বয়ানে অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত ছিলেন এক মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, তিনি অভিনেত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন।

আরও পড়ুন : মাদক মামলায় গ্রেফতার করণ জোহরের সংস্থার কর্মী ক্ষিতিজ প্রসাদ

Previous articleঅবশেষে শিকে ছিড়ল মুকুলের, হলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি
Next articleনজিরবিহীন ! প্রতিমা তৈরির মাটি এলো রাজনৈতিক দলের দরজা থেকে