গোয়ালতোড় আগ্নেয়াস্ত্র কাণ্ডে সরাসরি সিপিএমকে দায়ী করলেন তৃণমূল সাংসদ

goaltore

গোয়ালতোড় আগ্নেয়াস্ত্র কাণ্ডে এবার সরাসরি সিপিএমকে দায়ী করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বেশ কয়েক বছর আগের কঙ্কালকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে গোয়ালতোড়ে বন্দুক-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর বামেদের ঘাড়েই বন্দুক রাখলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ে মাটি খুঁড়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র-এর হদিশ পেয়েছে পুলিশ৷ যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ গভীর জঙ্গলে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কারা মজুত করে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়ালতোড় থানার পুলিশ উখলা জঙ্গল থেকে পুরানো, মরচে ধরা এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রায় ৩০ টি আগ্নেয়াস্ত্র মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। এটা বোঝা যাচ্ছে যে বেশ কয়েক বছর আগে মাওবাদী সমস্যার সময়ে অস্ত্রগুলি মাটিতে পোঁতা হয়েছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গলমহল এখন অনেকটাই শান্ত। তৃণমূল জমানায় গত কয়েক বছরে মাওবাদী হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি৷

বেসরকারি সূত্রে খবর, গোয়ালতোড়ে জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে ৩০টি বন্দুকের হদিশ পাওয়া গিয়েছে৷ বন্দুকগুলি কম্বলে মুড়ে প্লাষ্টিক দিয়ে রাখা ছিল৷ এছাড়া মাটি খুঁড়ে বোমা তৈরির উপকরণ বিদ্যুতের তার, টিনের কৌটোরও হদিশ মিলেছে৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতর। কঙ্কালকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বন্দুক উদ্ধারে সরাসরি সিপিএমকেই দায়ী করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷ অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, ১০ বছর ধরে তৃণমূল কী করছিল? পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওঠে বসে৷ এইরকম অসভ্যের মতো কথা যেন ওরা আর না বলে।

আরও পড়ুন-জাল চিঠি ছড়িয়ে অপপ্রচারের পিছনে কারা, খুঁজতে নেমেছে বিজেপি

Previous articleজাল চিঠি ছড়িয়ে অপপ্রচারের পিছনে কারা, খুঁজতে নেমেছে বিজেপি
Next articleএবার বিজেপির বিরুদ্ধে এক মহিলা দোকানদারকে হেনস্থার অভিযোগ