মুকুল প্রসঙ্গে কী বললেন দিলীপ?

বিজেপিতে সকলের জন্য কাজের বিভাজন থাকে। মুকুলদা বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর অভিজ্ঞতা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যথেষ্ট। আমরা তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাব। আগেও এভাবেই করেছি। রাজ্যে বিগত দুটো নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাঁর সহযোগিতা পাব। আর কেন্দ্র যেভাবে ব্যবহার করতে চাইবে করবে।

মুকুল রায় সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়ার পর এইভাবেই প্রথমবার নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়ে দিলীপ একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিলেন।

বিষয় : বিজেপিতে তৎকাল আর আদি বিজেপির লড়াই।

দিলীপ : রাজ্যে ২০২১-এ ভোট। এবারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলাকে তাই গুরুত্ব দিয়ে তিনজনকে নেওয়া। কমিটির ৭০ জনের মধ্যে বেশ কিছু নেতার বয়স ৪০-এর নিচে। দল তারুণ্যকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার মানে পুরনোদের কোনও গুরুত্ব নেই, এমন নয়। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পার্টি সমৃদ্ধ হবে।

বিষয় : রাহুল সিনহা বোমা ফাটিয়ে বলেছেন, ৪০ বছর ধরে সেবার পুরষ্কার পেলাম। দল ছাড়ার হুমকিও..

দিলীপ : পার্টিতে কাজ করতে গেলে একটা সিস্টেমে চলতে হয়। সব সিদ্ধান্তেরই কারণ, যুক্তি থাকে। তার মানে কাউকে বাদ দেওয়া হয়েছে ব্যাপারটা তা নয়। সাময়িকভাবে কাউকে বাদ দেওয়া হলে মনের মধ্যে এমন প্রতিক্রিয়া হয়। এ নিয়ে যারা ভাবার, দেখার, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখবেন।

রাহুল সিনহার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে?

দিলীপ : না, এখনও কথা হয়নি।

বিষয় : বারুইপুর থেকে বসিরহাট বা বাঁকুড়া। বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। ক্ষমতায় আসার আগে শাসক দলের রোগ লেগেছে?

দিলীপ : কিছু লোক নানা উদ্দেশ্য নিয়ে দলে ঢুকেছে। শাসক দলের অনুপ্রেরণাও আছে। তবে এসব ছোটখাটো ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টির খুব একটা কিছু যায় আসে না। পার্টি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাই কেউ কেউ পদ ধরে রাখা বা হারানোর ভয়ে এসব করছে। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। দল বড় হলে মশা-মাছিও আসে। তাকে তাড়াবার ব্যবস্থাও আছে।

আরও পড়ুন- শিক্ষাবর্ষ শুরু করা নিয়ে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়?

বিষয় : রাজ্যপাল নাকি দিলীপ ঘোষের ডেপুটি হচ্ছেন?

দিলীপ : রাজ্যপালের সমালোচনা এ রাজ্যের ঐতিহ্য। এই সরকারের আমলে তা আরও বেড়েছে। আর এই রাজ্য সরকার পুরোটাই অগণতান্ত্রিক। রাজ্যপালকে নিয়ে যে যে সমালোচনা হচ্ছে, তা বাংলার অধঃপতনের সাক্ষ্যই প্রকাশ্যে আসছে।

বিষয় : কৃষি বিল, শ্রম বিল বেআইনিভাবে পাশ হল…

দিলীপ : ডেপুটি স্পিকার ধ্বনি ভোটে পাশ করেছেন বিল। বিরোধীদের আপত্তি। তাই যদি হয়, তাহলে আইন-আদালত আছে। বিরোধীদের তাই করা উচিত।

বিষয় : দিল্লিতে টানা বৈঠক হল। বাংলার ভোটে মুখ কী দিলীপ ঘোষ?

দিলীপ : দিলীপ মুখ নয়।
আর বৈঠকে রাজ্যের ভোটকে সামনে রেখে আলোচনা আর কর্মসূচি নির্দিষ্ট হয়েছে। অক্টোবর থেকেই আমরা রাজ্য সরকারের বেআইনি, অগণতান্ত্রিক কাজ নিয়ে আন্দলনে নামব।

আরও পড়ুন- ভিখারির বেশে টাকার ব্যাগ ছিনতাই, শহরে কি ফের সক্রিয় বানজারা গ্যাং

Previous article“আমার করোনা হলে মমতাকে জড়িয়ে ধরবো!” অনুপমের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ