পুলিশের জালে আইপিএল বেটিং চক্রের মূল পাণ্ডা

দীর্ঘদিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘোরার পর অবশেষে, হুগলির কোন্নগর থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল আইপিএল বেটিং চক্রের মূল পান্ডা রাহুল। গত মাসের ২৯ তারিখ, হুগলির কোন্নগরের ধর্মডাঙার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে, সাত জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। সেদিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাহুল কোনওভাবে পালিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা হলো না। সোমবার ভোররাতে কোন্নগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল তাকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল, নোটবুক ও ল্যাপটপ।

প্রসঙ্গত, আইপিএল শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বেটিং চক্রের পর্দাফাঁস হতে শুরু করেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, যাদবপুর, সল্টলেকে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে মোট ১৭টি মোবাইল ফোন, ১৪টি ল্যাপটপ, তিনটি টিভি, একটি গাড়ি–সহ নগদ দেড় লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন : দিঘার সমুদ্র সৈকত থেকে পাকড়াও আইপিএল বেটিং চক্রের ৯ পাণ্ডা

কলকাতার পর কোন্নগরের ধর্মডাঙা থেকে ফের জুয়া চক্রে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মেমারি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও, তাদের মধ্যেই কিছুজন পালিয়ে যায় দিঘায়। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে শনিবার সন্ধ্যায় দিঘা থেকে চক্রের ৯ জন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সেখান থেকেও পুলিশকে দেখে গাড়িতে চেপে পালানোর চেষ্টা করে বেশ কয়েকজন। দিঘা থেকে তাদের তাড়া করে রবিবার সকালে মেমারি শহরের ব্রাহ্মণপাড়ার মুখে গাড়িটি আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় গাড়িতে থাকা ৬ জনকেই। পুলিশ সূত্রে খবর, বেটিং চক্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ধৃত পল্লব মজুমদার, সুদীপ মজুমদার, বাসুদেব বিশ্বাস, বিপ্লবচন্দ্র ধর, সমরেশ বিশ্বাস ওরফে গণেশ এবং প্রসেনজিৎ মাঝি। পাশাপাশি, বর্ধমান শহরের গোলাহাট থেকে একই অভিযোগে শেখ কামালউদ্দিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মোবাইলগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আইপিএলে বেটিং করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। মোবাইলে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে এরা চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ‘অ্যাপ্লিকেশন আইডি’ এবং পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। বেটিং অনলাইনে হলেও, আর্থিক লেনদেন হত নগদে। কারণ, অনলাইনে লেনদেন হলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তদন্তকারীদের ধারণা, এক-একটি দলে ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য থাকে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Previous articleদীনেশ কার্তিককে সরিয়ে ইয়ন মর্গ্যানকে অধিনায়ক চাইছেন নাইট সমর্থকরা
Next article“মোদির নয়া স্লোগান কণ্ঠস্বর চেপে রাখো”, হাথরাস নিয়ে তীব্র কটাক্ষ অধীরের