বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে বড়সড় যোগদান! এবার কোথায়?

একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই সংকট প্রকট হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে দলের ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে। অন্যদিকে পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর, ঘর গোছাচ্ছে শাসক শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা ধরছেন কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূল নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে চলছে “ঘর ওয়াপসি”। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার পূর্ব বর্ধমানে গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা। বিজেপি ছেড়ে প্রায় হাজারেরও বেশি সক্রিয় কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের দলে বরণ করে নিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রত্যেকেই তৃণমূলের নিয়ম–‌শৃঙ্খলা মেনে কাজ করবেন বলে শপথ নিলেন।

তৃণমূলের দাবি, বিজেপি-আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক ও ছাত্র সংগঠন এবং অন্য রাজনৈতিক দল থেকে হাজারেরও বেশি কর্মী ও নেতৃবৃন্দ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। বর্ধমান টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা।

এই যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি এবং অন্য রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় এক হাজারের বেশি কর্মী ও নেতৃবৃন্দ তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের তৃণমূলে নেওয়ার ব্যাপারে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জেলা কমিটিকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন। যোগদানকারীরা সকলেই বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে চান। বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূলে এসেছেন তাঁরা। যোগদানকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাঁদের এই যোগদানে জেলায় তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে।”

আরও পড়ুন-মুকুল নাকি চাণক্যেরও গুরু! বলেন কী মধ্যপ্রদেশের কৈলাস?

Previous articleমুকুল নাকি চাণক্যেরও গুরু! বলেন কী মধ্যপ্রদেশের কৈলাস?
Next article১০৫ দিন কোভিড পজিটিভ প্রৌঢ়া, হাসপাতালকে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের