আগে রাজ্যে হাতির হামলায় কারও মৃত্যু হলে শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য মিলত। এবার থেকে পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাসফরের প্রথমদিনে মঙ্গলবার, খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় মাঝেমধ্যেই জঙ্গল থেকে হাতির পাল বেরিয়ে লোকালয়ে হানা দেয়। এতে সম্পত্তির ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানিও হয়। এতদিন এক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ টাকা করে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হত। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন, এবার থেকে হাতির হামলায় মৃত্যু হলে পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে প্রথমে চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার দিন তিনি দুদিনের জঙ্গলমহল সফর শুরু করেছেন। প্রথমদিনই খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা-সহ প্রশাসনের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা সর্তকতায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সভায় আসন বিন্যাস করা হয়।

আরও পড়ুন-কালীপুজোর পর জানা যাবে এ রাজ্যে পুরভোট কবে
