স্কুলে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত রাজ্যের ২৭ পড়ুয়া!

এবার স্কুলে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হলো ২৭ জন পড়ুয়া। ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশের। ‘ডাউট ক্লিয়ার’ ক্লাসে এই সংক্রমণ হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পুরোদমে ক্লাস শুরু হলে কীভাবে সব সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর থেকে শর্তসাপেক্ষে স্কুল খোলার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী বেশ কিছু রাজ্য স্কুলের পঠনপাঠন চালু করেছে। তার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে ওই পড়ুয়ারা স্কুল থেকে সংক্রমিত হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভাইরাস মোকাবিলায় স্কুলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পড়ুয়ারা অন্য কোনও জায়গা থেকে সংক্রমিত হতে পারে।

আনলক ৫-এ ১৫ অক্টোবর থেকে রাজ্যগুলি স্কুল খুলতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যগুলিকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে পুরোদমে অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল খুলছে ২ নভেম্বর থেকে। কিন্তু তার আগেই স্কুলে কীভাবে গেল পড়ুয়ারা? জানা যাচ্ছে বিজিয়ানগরম জেলা পরিষদ হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির ওইসব পড়ুয়ারা ‘ডাউট ক্লিয়ার’ করার জন্য স্কুলে যেত। ২১ সেপ্টেম্বর থেকেই স্কুলে যাচ্ছিল ওই পড়ুয়ারা।

যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলেই থাকেন। বেশিরভাগ পড়ুয়ার কোনও উপসর্গ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই স্কুল আপাতত খুলতে নিষেধ করেছেন জেলা শাসক এম হরি জওহরলাল। জেলা শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক জি বিজয়ালক্ষ্মী সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিজিয়ানগরমের একটি গ্রামেই ১০৮ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন ছাত্র ও ৯ জন ছাত্রী। পড়ুয়ারা সংক্রমিত হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলা কালি শ্রীনিবাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজিয়ানগরমের যেসব পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে তাদের অভিভাবকদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আক্রান্ত পড়ুয়ারা হোম আইসোলেশনে আছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজনে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।

আরও পড়ুন:দেশ জুড়ে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

Previous articleপুলিশকে শাস্তির হুঁশিয়ারি লকেটের
Next articleজেলা সফরে থেকে ফিরেই ভবানী ভবনে ডিজির সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর