পুজোর আগেই মিলবে পুরোহিত-ভাতা, তৎপর নবান্ন, শনিবার বৈঠক

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সদ্যঘোষিত ‘পুরোহিত- ভাতা’ পুজোর আগেই চালু করতে সক্রিয় নবান্ন। একইসঙ্গে জোর তৎপরতা চলছে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে পুরোহিতদের বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও ।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, “একটি অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার সনাতন ব্রাহ্মণ গোষ্ঠীকে কালীঘাটে জমি দিয়েছে। এই গোষ্ঠীর বহু পুরোহিত খুব গরিব। আমরা তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকার এবার তাঁদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে ভাতা দেবে। এছাড়া সরকারি আবাস যোজনার আওতায় তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, ইমাম- মোয়াজ্জমদের ভাতা দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিলো রাজ্য সরকারকে। বলা হয়েছিলো, পুরোহিতদের কেন ভাতা দেওয়া হবে না? এবার পুরোহিত-ভাতা চালু করে বিরোধীদের যাবতীয় প্রচার বন্ধ করলো রাজ্য৷

স্থির হয়েছে, শুধু হিন্দুধর্মের পুরোহিত’রাই নন, এই দুই ধরনের সামাজিক প্রকল্পে আওতায় আনা হচ্ছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যাজক, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের পুরোহিতরাও।
এই ভাতা কারা পাবেন, তার চূড়ান্ত তালিকা-সহ অন্যান্য পদ্ধতি দেখভাল করবেন জেলাস্তরের প্রশাসনিক কর্তারা৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পুরোহিত কিংবা যাজকরাই এই দুই সামাজিক প্রকল্পের আওতায় আসবেন।

সূত্রের খবর, ‘পুরোহিত- ভাতা’ প্রদানের গাইডলাইন চূড়ান্ত করতে
আগামীকাল, শনিবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করবেন জেলাশাসকদের সঙ্গে৷ এই বৈঠকেই ভাতা চালুর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। ভাতা এবং বাড়ি প্রকল্পে আবেদন জমা দেওয়ার রূপরেখা স্থির হবে এই বৈঠকেই। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির ১০ দিনের মধ্যেই যাতে পুরোহিতদের কাছে ভাতা পৌঁছে যায়, সেই লক্ষেই কাজ চলছে৷
এই ভাতা পেতে সরকারের নির্দিষ্ট ‘পুরোহিত ভাতা পেনশন ফর্ম’ রয়েছে। তা পূরণ করে গ্রাম বাংলার বিডিও অফিসে জমা দিতে হবে৷ জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই আবেদন অনুমোদনের কাজ শুরু হবে৷ এবং পুজোর আগেই ভাতা পেয়ে যাবেন পুরোহিতরা। প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার পুরোহিত এই প্রকল্পে মাসিক এক হাজার টাকা করে পাবেন।
টাকা চলে যাবে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পুরোহিত- যাজকরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। অন্য কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বা সরকারি পেনশন পান না, এমন পুরোহিতরাই আবেদন করতে পারবেন। আর, আবাস যোজনা প্রকল্পে পাওয়া যাবে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা৷ প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যাবে ৬০ হাজার টাকা। বাকিটা কাজ দেখে দেওয়া হবে৷ তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের নিজের ন্যূনতম ৩০ বর্গমিটার জমি থাকতে হবে৷ পাশাপাশি, এই সম্প্রদায়ভুক্ত যাদের নিজের জমি নেই, জমি কেনার সামর্থ্যও নেই, তাদের জন্য সরকারি কোনও জমির ব্যবস্থা করা যায় কি না তা দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের৷

আরও পড়ুন : সাংবাদিকরা ফেস্টিভ বোনাস কীভাবে পাবেন, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল নবান্ন

Previous articleদুর্গাপূজা সমারোহের বিপদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালো ডাক্তারদের জয়েন্ট প্লাটফর্ম
Next articleনবান্ন অভিযানে ‘জল’, মণীশের বাড়ি ছুটলেন তেজস্বীরা