বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২০: নয়া চমক ”সেরা কোভিড সচেতন পুজো”

বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গোৎসব। তাই চোখ রাঙানি দিক করোনা, তার মধ্যেই হবে মাতৃবন্দনা। সচেতনতা ও সুরক্ষায় এই মেগা ইভেন্টে জৌলুসে সামান্য কিছু ঘাঁটতি থাকলেও পুজোর আনন্দ গায়ে মাখবেই বাঙালি। রাজ্য সরকারের কোভিড গাইড লাইন মেনেই হবে পুজো। এবং সেটাই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়েই এবার লড়াইয়ে মেতে উঠবে পুজো কমিটিগুলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার উৎসবের মাঝেই সচেতনতা ও সুরক্ষার সেই লড়াইটাই যেন জমিয়ে দিলেন।

প্রতিবারের মতো এবারেও পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহদানের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে ”বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সাল থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত দুর্গা পুজোয় সেরার সম্মান “বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান” পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে।

এবছর করোনা আবহে শুরুর দিকে পুজো নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষপর্যন্ত বিধি-নিষেধের মধ্যে দিয়েই কলকাতা তথা বাংলায় শারদ উৎসব হচ্ছে। আর্থিক প্রতিকূলতার বিষয়টি ভাবনায় রেখে পুজো কমিটিগুলির কাছে আগেই “কল্পতরু” মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। এবার রাজ্য সরকারের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করে তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ঘোষণা করলেন,২০২০-তেও দেওয়া হবে “বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান”। সেরা ভাবনা, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ, সেরা আলোকসজ্জা-সহ মোট ১১টি ক্যাটেগরিতে এর আগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন সংযোজন “সেরা কোভিড সচেতন পুজো”। এই ক্যাটেগরিতেও এবার পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

ইন্দ্রনীল সেন এদিন বলেন, “একটি নতুন ওয়েব সাইটের আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগিয়ে বাংলার ওয়েব সাইটে গেলেই সেটা দেখা যাবে। সেখান থেকেই ফর্ম পাওয়া যাবে। আজ, ১০ অক্টোবর, থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার জন্য আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ফিলআপের পর এই সময়ের মধ্যেই সেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।”

আরও পড়ুন- দিল্লির নেতারা কূটকাচালিতে ব্যস্ত, দিলীপ লড়ছেন মাঠে-ময়দানে

পাশাপাশি ইন্দ্রনীল সেন আরও বলেন, কলকাতা ছাড়া বাকি ২২টি জেলাতেও এই “বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার” দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষে। তবে সেখানে সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মণ্ডপ ও সেরা কোভিড সচেতন পুজো- এই ৪টি ক্যাটেগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।

বিদেশের পুজোগুলিও অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র নেওয়া হবে। একইভাবে ভিন রাজ্যের পুজোগুলিকেও অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে ”সেরা পুজো” ক্যাটাগরিতে ”বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২০” পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। প্রকৃত অর্থে বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্ববাংলার আঙ্গিকে এই করোনা অতিমারি আবহের মধ্যেও সচেতনতা ও সুরক্ষা বিধি বজায় রেখেই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleদিল্লির নেতারা কূটকাচালিতে ব্যস্ত, দিলীপ লড়ছেন মাঠে-ময়দানে
Next articleপাগড়ি নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করেনি পুলিশ: অধীর