বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারির জেরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বও চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবরে পিছিয়ে আসে। আর সেখানেই ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে বলিভিয়াকে ৫-০ গোলে পরাস্ত করল ব্রাজিল। যোগ্যতা অর্জনের ময়দানে সাও পাওলোর মাঠে বলিভিয়াকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করল ব্রাজিল। ব্রাজিলের হয়ে এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন রবার্তো ফিরমিনো। একটি করে গোল করেছেন ফিলিপ্পে কুতিনহো, মার্কুইনহোস। এবং আর একটি আত্মঘাতী গোল ব্রাজিলকে উপহার দিয়েছেন বলিভিয়ার হোসে কারাসকো।
তবে এই ম্যাচে নেইমার কোনও গোল না পেলেও ময়দানে তার ভূমিকা ছিল যথেষ্ট। ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পিঠের সমস্যার কারণে নেইমারের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে মাঠে নামার পর সেই চেনা নেইমারকে দেখা গেল এদিন।
ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ এগিয়ে বলিভিয়াকে নাজেহাল করে ব্রাজিল। শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। কিন্তু এই সুযোগ নষ্ট হলেও মাত্র ১৬ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত হেডে প্রথম গোলটি করেন মারকুইনহোস। প্রথম গোল হওয়ার পরই আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলিভিয়ার রক্ষণভাগ। ৩০ মিনিটের মাথায় ফির্মিনো করেন দ্বিতীয় গোলটি। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হতেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকেই গোল উৎসব শুরু করে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৪ মিনিটে নেইমারের পাশে ফির্মিনো করেন আরও একটি গোল। ৬৬তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন বলিভিয়ার হোসে কারাসকো। এরপর ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ১৭ মিনিট আগে নেইমারের শট থেকে হেড করে পঞ্চম গোলটি করেন কুতিনহো।
আরও পড়ুন: পুজো কমিটিগুলিকে ৭ দফা নির্দেশিকা কলকাতা পুলিশের
গোটা ম্যাচে কার্যত দর্শকের ভূমিকায় থাকতে দেখা যায় ব্রাজিলের গোলরক্ষক ওয়েভারটনকে। গোটা ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র ৫০ মিনিটের মাথায় বলিভিয়ার ব্রুনো মিরান্দার একটি শট উড়ে আসে তার দিকে। যদিও তা সামাল দিতে কোনও সমস্যা হয়নি ওয়েভারটনের। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারানোর পর এই প্রথম মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। মাঝে অবশ্য ছিল করণা মহামারীর কারণে দীর্ঘ বিরতি। যদিও ময়দানে তিতের দলকে দেখে মোটেও মনে হয়নি যে ২০২০ সালে এটাই তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।