চলতি অর্থবর্ষে ৯.৬ শতাংশ পতন ঘটবে দেশের অর্থনীতির, দাবি বিশ্ব ব্যাংকের

করোনা পরিস্থিতির অনেক আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ক্রমশ খারাপের পথে হাঁটছিল। ভয়াবহ অতিমারি এক ধাক্কায় সেই অর্থনীতিকে পাঠিয়ে দিয়েছে কার্যত কোমায়। তবে এটাই শেষ নয়, চলতি অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক হাল যে আরও খারাপ হতে চলেছে সম্প্রতি তারই পূর্বাভাস দিল বিশ্ব ব্যাংক। দাবি করা হচ্ছে লকডাউন ও সাধারণ মানুষের আয় কমার কারণে মানুষের চাহিদায় ঘাটতি এই পরিস্থিতিকে আরও দীর্ঘায়িত করবে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। যেখানে জানানো হয়েছে দুই হাজার কুড়ি অর্থবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশ কমতে পারে। আর এই পতনের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে মূলত করোনা পরিস্থিতিকে। তথ্য বলছে করোনা পরিস্থিতিতে চাহিদায় ঘাটতি ও যোগান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে অর্থনীতি। ২৫ মার্চ দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের ৭০% অর্থনৈতিক কাজকর্ম, বিনিয়োগ, রপ্তানি একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়। শুধু জরুরি পণ্য ও পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শিল্পসংস্থাগুলিই চালু ছিল। যদিও এই পরিস্থিতি থেকে বাইরে আসার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংক। রিপোর্টে জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ দেওয়ার জন্য। যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে এবং চাহিদা অনুযায়ী যোগান। এসব কিছুর পাশাপাশি অবশ্য বিশ্বব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে আগামী বছর ৪.৫ শতাংশ হারে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: যাত্রী সুবিধার্থে টিকিট কাটার নিয়মে বদল আনল ভারতীয় রেল

সংস্থার অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, ‘‌করোনা পরিস্থিতি বহু মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার একের পর এক ছাড় ঘোষণা করে চলেছে। বেসরকারি সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখা উচিত করোনা সঙ্কট এখনই কাটবে না। অর্থাৎ দীর্ঘসময়ের কথা ভেবেই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র। বহু শ্রমিক রুজিরুটি হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গরিব মানুষ যাতে খেয়ে–পরে বেঁচে থাকে, তার জন্য সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত পদক্ষেপ করা জরুরি।’‌

Previous articleসুইস ব্যাঙ্কের ‘কালো টাকার’ দ্বিতীয় দফার তথ্য পেল কেন্দ্র
Next articleচিনের ‘টিকটক’ বন্ধ করল বন্ধু পাকিস্তানও, কিন্তু কেন?