ফের সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য পেল কেন্দ্র। দ্বিতীয় দফায় এই নিয়ে তথ্য এলো দেশে। এ বছর ৩১ লক্ষ অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছে এফটিএ। এর মধ্যে ভারতীয় ব্যক্তি বা সংস্থার সংখ্যা ‘উল্লেখযোগ্য’।আগের বার ৭৫টি দেশকে তথ্য দিয়েছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় কর কর্তৃপক্ষ বা এফটিএ। এ বছর ৮৬টি দেশের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশ শুধু তথ্য দিয়েছে, কিন্ত আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ করেনি। ফলে তাদের কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক চাপর মুখে সুইৎজ়ারল্যান্ড প্রথম সেই দেশের ব্যাঙ্কে জমা অর্থ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে দিতে শুরু করে। প্রথম বার ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে এফটিএ ভারতীয় ব্যক্তি ও সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য নয়াদিল্লির হাতে তুলে দিয়েছিল। সে বারের দীর্ঘ আলোচনার ফলে বর্তমানে এফটিএ-র সঙ্গে ভারত-সহ বেশ অনেকগুলি দেশের তথ্য বিনিময়ে ‘অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফর্মেশন’ ব্যবস্থা চালু আছে। তার মাধ্যমেই এবার নাম-ঠিকানা, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পরিচয়, অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের তথ্য দিয়েছে তারা। দু’বছরে দুই কিস্তি তথ্য ছাড়াও মাঝের এক বছরে আরও তথ্য দিয়েছে এফটিএ। আর্থিক অপরাধের বিভিন্ন মামলায় ভারত তথ্য চেয়ে থাকে। সেই সূত্রে এই এক বছরে ১০০-রও বেশি ভারতীয় ব্যক্তি ও সংস্থার অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর ফলে কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে মজবুত মামলা সাজাতে কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি ছিল সুইস ব্যাঙ্কে জমা কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন। এর মধ্যে দুটি পর্যায় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু কত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট হিসাব মিলেনি। দ্বিতীয় দফার তথ্য অনুযায়ী এখন কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-গ্রামে সম্পত্তি বিবাদ মেটাতে ‘প্রপার্টি কার্ড’ চালু করছে কেন্দ্র