পাগড়ি-বিতর্ক ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে রাজ্য- এবার আসরে নেমে মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। যে কোন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের বিপরীত অবস্থান রাজ্যপালের। বাদ গেল না বিজেপির নবান্ন অভিযান আগ্নেয়াস্ত্র-সহ জড়িত যুবকের পাগড়ি খুলে যাওয়ার বৃত্তান্তও।

আরও পড়ুন- স্লিপার কোচ সরিয়ে হাই স্পিড ট্রেন বাতানুকূল করার সিদ্ধান্ত রেলের

সোমবার সকালে একটি টুইটে জগদীপ ধনকড় অভিযোগ করেন, “বলবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে হাওয়া ‘অমানবিক’ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশ”। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা না দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে সহানুভূতিশীল হওয়া উপদেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকী এই ঘটনাকে জালিওয়ানালাবাগের সঙ্গে তুলনা করেছেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর মতে, অত দূরের ঘটনা সেই সময় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মনকে ব্যথিত করেছিল। এই পরিস্থিতিতে কবিগুরুর আদর্শকে সামনে রেখে শির উচ্চ রাখার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে তিনি বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনার কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার, বিজেপি–র নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য প্রিয়াংশু পান্ডের দেহরক্ষী বালবিন্দর সিংকে মিছিল থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পাগড়ি খুলে পড়ে যায় ওই যুবকের। রাজ্য পুলিশ এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের ঘটনা নয় বলে জানায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরও। কিন্তু এ নিয়ে রবিবার রাজ্যে আসে দিল্লির শিখ প্রতিনিধি দল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লি শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা।


Concerned at adversarial stance @WBPolice @HomeBengal with all out effort to garner and manipulate support for inhuman treatment meted out #BalvinderSingh.
Time @MamataOfficial for healing touch rather than be in justification mode.
Law allows capping of such wrongs. (1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 12, 2020
পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ও দোষী পুলিশদের শাস্তি দিবার দাবি জানায় তারা। এদিন রাজ্যপালের হাতে দুই পাতার একটি চিঠিও দিয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের ওই শীর্ষ ধর্মীয় সংগঠন।

এরপর তিনি টুইট করে ফের রাজ্য সরকার তথা পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অথচ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অযথা এতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার সময় পরিস্থিতির কারণেই ওই যুবকের পাগড়ি খুলে যায়। এতে কোনও রকম ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার বিষয় নেই। কিন্তু যে কোন বিষয়েই রাজ্য সরকারের বিপরীত অবস্থানে থাকেন জগদীপ ধনকড়। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।
