চূড়ান্ত বিপাকে বিপ্লব দেব, মুখ্যমন্ত্রী বদলের জন্য নাড্ডার কাছে এক ডজন বিধায়ক

বিপাকে বিপ্লব !

দ্রুত ত্রিপুরা-বিজেপি’র নেতৃত্ব বদলের দাবি নিয়ে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এক ডজন বিজেপি বিধায়ক৷ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দাবি, ৩৬ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি বিধায়কই তাদের সঙ্গে।

এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওই রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ তাঁর নেতৃত্বেই এই মুহূর্তে দিল্লিতে ত্রিপুরার ১২জন বিজেপি বিধায়ক। এই বিধায়করা দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ জানিয়েছেন৷ বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, বিপ্লব দেব যেভাবে সরকার চালাচ্ছেন, তাতে ২০২৩ সালে বিজেপি’র পক্ষে বিধানসভায় জেতা কার্যত অসম্ভব৷

সুদীপ রায়বর্মন ছাড়াও এই দলে আছেন আশিষ সাহা, সুশান্ত চৌধুরি, রমাপ্রসাদ পাল প্রমুখ। বিক্ষুব্ধ এক বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, এই মুহূর্তে নেতৃত্বে বদল চাইছেন বিজেপির ৩৬ জনের মধ্যে ২৫ জন বিধায়ক। দাবি, বিপ্লব দেবের অপশাসনের ফলে ক্রমশ মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে বিজেপি। নাড্ডার পর এই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের এই দলটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করতে চান৷ এই বিধায়কদের অন্যতম সুশান্ত চৌধুরি বলেছেন, ত্রিপুরায় দল ও সরকার ঠিক পথে হাঁটছে না। যে সব প্রতিশ্রুতি নির্বাচনের আগে দেওয়া হয়েছিলো, সেগুলি পূরণ করার কথা ভাবা হচ্ছে না৷ সুশান্তবাবু বলেছেন, “মোদি-শাহের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে। রাজ্যে কি হচ্ছে, সেটা জানাতেই আমরা এখন দিল্লিতে”৷

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তণ প্রধান সুদীপ রায় বর্মন ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ বিজেপি সরকার গঠনের পর তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান৷ কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ এই দুই নেতার মধ্যে তিক্ততা এমন স্তরে গিয়েছে যে সুদীপবাবুর বিরুদ্ধে এক কোভিড হাসপাতালে ঢোকার জন্য FIR পর্যন্ত দায়ের করে বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা পুলিশ। এই মুহুর্তে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩৬ জন৷ শরিক IPFT-র আছে ৮ বিধায়ক। আর বামপন্থীদের ১৬ জন৷

Previous articleসারছে না রেফার-রোগ, এসএসকেএম-এ মৃত্যু এক বছরের শিশুর
Next articleলোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে ফের বিক্ষোভ-অবরোধ! এবার কোথায় জানেন?