পৃথিবী লক্ষ্য করে ধেয়ে আসছে ৫৪ বছর আগে মহাকাশে হারিয়ে যাওয়া রকেট

সাফল্য ও ব্যর্থতার উত্থান-পতনকে সঙ্গে করে মহাকাশের রহস্যভেদে নেমেছে মানবজাতি। আর সেই লক্ষ্যেই মহাশূন্যের তল খুঁজতে আজ থেকে প্রায় ৫৪ বছর আগে ১৯৬৬ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা উৎক্ষেপণ করেছিল ‘সার্ভেয়ার-২’ নামের একটি রকেট। যদিও ব্যর্থ হয় সে মিশন। মহাকাশে পৌছানোর পরই ভেঙে পড়ে সেটি। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে থাকে নাসার ‘সার্ভেয়ার-২’। পরে একটা সময় আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। দীর্ঘ বছর পর অবশেষে সন্ধান পাওয়া গেল সেই রকেটের। শুধু তাই নয় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পৃথিবীর দিকে আসছে সেটি। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন নাসার গ্রহাণু বিশেষজ্ঞ পল চোডাস। হারিয়ে যাওয়া রকেটের ফের পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার ঘটনায় উচ্ছ্বসিত নাসার বিজ্ঞানী মহল।

কিন্তু ৫২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ‘সার্ভেয়ার-২’ ফের ফিরছে পৃথিবীর বুকে? বিষয়টা শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও বাস্তবটা তেমনই। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মহাকাশে নজরদারির সময় সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা দেখেন এক বিশাল প্রস্তরখন্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। শুরুতে তাদের মনে হয় এই বিশাল প্রস্তরখন্ডটি আসলে কোনও গ্রহাণু। কিন্তু যত সেটি এগিয়ে আসতে থাকে ততই ভুল ভাঙে বিজ্ঞানীদের। সেটি যে কোনও গ্রহাণু নয় তা বেশ বুঝতে পারেন তারা। সবশেষে বিজ্ঞানী পল চোডাস নিশ্চিত হোন পস্তর খন্ডের মত দেখতে যে বস্তুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সেটি আসলে ৫৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া চন্দ্র অভিযানে ব্যর্থ রকেট ‘সার্ভেয়ার-২’।

আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতে হালাল বন্ধের আর্জি, খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ

নাসার বিজ্ঞানী জানান যত এই রকেট পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসতে থাকবে ততই তার খুঁটিনাটি বিষয় আরও স্পষ্ট হবে। শুরুতে এটি প্রস্তরখন্ড মনে হলেও এর চালচলন দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে এটি আসলে হারিয়ে যাওয়া সেই রকেটটি। ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, গ্রহাণু আসলে নিরেট পাথর। তাই তার চলন সম্পূর্ণ আলাদা। রকেট ফাঁপা ও বড় ক্যানের মত। তাই তার উপর সূর্যের আলোর তেজস্ক্রিয়তা ও তাপ কতখানি প্রভাব ফেলছে তা বোঝা যাবে। ওই বিজ্ঞানীর আরও দাবি, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করবে রকেটটি। এরপর ২০২১ সালের মার্চ মাস নাগাদ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে সেটি। তবে এই রকেট যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

Previous articleশীর্ষ আদালতে হালাল বন্ধের আর্জি, খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ
Next articleএবার গোবরের তৈরি চিপ বাঁচাবে নানান কঠিন রোগ থেকে, দাবি কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যানের