চোখে জল কিমের, নত মস্তকে চাইছেন ক্ষমা! অবাক দৃশ্যে বিস্মিত বিশ্ব

তাঁর নামের পাশে সর্বদা বিশেষণ বসে ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’। একনায়কত্বের শাসনে ‘একুশে আইন’-এর নানাবিধ কর্মকাণ্ড মাঝেমধ্যে উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। উত্তর কোরিয়ার সেই শাসক কিম জং উন এবার ধরা দিলেন কাঁদো-কাঁদো চোখে। নতমস্তকে তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে দেখা গেল উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন পরিবর্তন? জানা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার চোখে চোখ রাখলেও মারণ অদৃশ্য ভাইরাস করোনার কাছে পরাজিত তিনি। সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন কোভিড পরিস্থিতিকে সামাল দিতে। যার জেরেই এই প্রথমবার ছলছল চোখে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন বেপরোয়া শাসক কিম।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ায় নিজের রাজনৈতিক দলের ৭৫ তম বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখার সময় কিমকে দেখা গিয়েছে এক সংবেদনশীল শাসকের ভূমিকায়। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সাধারন মানুষের প্রত্যাশা মতো কাজ করতে পারেননি তিনি। তাই সকলের সামনে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। এরপরই চোখের চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় কিমকে। পাশাপাশি আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি বলেন, কিম ২ সাং ও কিম জগ ইলের উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য দেশবাসী আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমি অনেক চেষ্টার পরও মানুষের জীবনের সমস্ত অসুবিধা দূর করতে পারিনি। যা আমার কাছে অত্যন্ত আফশোসের বিষয়।

তবে উত্তর কোরিয়ার একনায়কের এভাবে জলভরা চোখে আবেগঘন মুহূর্ত দেখে সমালোচকদের দাবি, কিমের এমন ভোল বদলের অন্যতম কারণ করোনাভাইরাস ও পারমাণবিক অস্ত্রের উপর বিধিনিষেধ। বিশ্বের পাশাপাশি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াতেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার প্রকোপ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধের কারণে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে তার নেতৃত্ব। সবে মিলে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।

আরও পড়ুন: ফের তীরে এসে ডুবল তরী, আবার মাঝপথে বন্ধ হল করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল

নিজের আবেগঘন বক্তৃতায় করোনা পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্ব যেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সে কথা তুলে ধরেন কিম। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। তবে যাই হোক না কেন বরাবরের বিতর্কিত এই একনায়ক শাসকে চোখে রীতিমতো বিস্মিত গোটা পৃথিবী।

Previous articleমন্ত্রীর পরে এবার অনুব্রতর ভর্ৎসনার নিশানায় পঞ্চায়েত সদস্য
Next article৬০ বছরে কিছুই করেননি, ১৫ মিনিটে কী করবেন? রাহুলকে প্রশ্ন কিশোরের